সুপ্রভাত ডেস্ক :
২০১০-২০১১ অর্থবছরে ফোন কল, ইন্টারনেট, মেসেজ ও অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১০ শতাংশের সম্পুরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। সম্পুরক শুল্ক ছাড়াও মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের এখন তাদের বিলের ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং এক শতাংশ সারচার্জ দিতে হয়।
তবে মোবাইল ফোন অপারেটররা বলছেন, সম্পুরক শুল্ক যদি পাঁচ শতাংশ বেড়ে যায় তাহলে গ্রাহকরা ১০০ টাকার সেবায় ১৩৩ দশমিক শূন্য ৭২৫ টাকার বিল পাবেন অথবা প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৭৫ দশমিক ১৪৭ টাকার সেবা পাবেন।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকার প্রথমে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিন শতাংশ সম্পুরক শুল্ক আরোপ করেছিল। ধীরে ধীরে তা বাড়তে বাড়তে চলতি অর্থবছরে ১০ শতাংশে এসে দাঁড়ায়।
গত বছর স্মার্টফোন আমদানিতে বিশাল করের মুখোমুখি হয়েছিল আমদানিকারকরা। সরকার স্থানীয় শিল্পকে সুবিধা দিতে এই ব্যবস্থা নেয় বলে জানা যায় এই খাতের অভ্যন্তরীণদের কাছ থেকে।
এনবিআরের তথ্য অনুসারে, ফোন এবং সিম কার্ডের ভ্যাট ও পরিপূরক শুল্ক ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের তৃতীয় বৃহত্তম রাজস্ব আয়ের উত্স ছিল। এর থেকে রাজস্ব আসে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, যা আগের অর্থ বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানায়, মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা এ বছর মার্চ মাসে নয় শতাংশ বেড়ে সাড়ে ৯ কোটি হয়েছে।
কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে করার জন্য যে রাজস্ব সংগ্রহের প্রয়োজন, তার একটি অংশ এই খাত থেকে জোগাড় করার কথা ভাবছে অর্থ মন্ত্রনালয়।