নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৌসুমী বায়ুর আগমনে ঝড়ছে বৃষ্টি। অনিয়মিত এই বৃষ্টি নিয়মিত হতে সময় নিতে পারে আরো এক সপ্তাহ। তবে এবার স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরের পর থেকে আকাশ কালো করে আসা বৃষ্টির দাপট চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। থেমে থেমে হয়েছে বর্ষণ। এই বর্ষণ অব্যাহত থাকবে কিনা জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তর পতেঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন,‘কক্সবাজার পর্যন্ত মৌসুমী বায়ু এসেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে পুরো দেশে তা ছড়িয়ে যেতে পারে। আর তা হলেই শুরম্ন হবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। গত কয়েকদিন ধরে হওয়া বৃষ্টিও কিন’ মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে হচ্ছে।’
এদিকে চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে মাসের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে বর্ষা শুরম্ন হতে পারে বলে বলা হয়েছিল। আর কিছু কিছু এলাকায় ভারী বৃস্টিপাতের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায় বন্যা হতে পারে। একইসাথে জুন মাসে এক থেকে দুটি মৌসুমী নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে বলা হয়েছিল।
আবহাওয়াবিদদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দড়্গিণ-পূর্ব দিক থেকে আসা মৌসুমী বায়ুর কারণে দেশে বৃষ্টি হয়ে থাকে। প্রতিবছর জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এই বাতাস দেশে প্র্বেশ করে এবং পুরো বর্ষাকাল প্রবাহিত হয়। এই বাতাসের কারণে বর্ষায় বৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যে এই বাতাস টেকনাফ দিয়ে প্রবেশ কক্সবাজার পর্যনত্ম পৌঁছেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর তা হলেই সাগর থেকে আসা জলীয় বাস্পের প্রভাব এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা শুকনো বাতাসের প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরম্ন হতে পারে। আর এ কারণেই দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে এবং তা থেকে বন্যাও দেখা দেয়।
উলেস্নখ্য, বছরের এই সময়ে সাগরে মৌসুমী কিছু নিম্নচাপ হয়ে থাকে তবে তা থেকে সাধারনত ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় না। তবে এসব মৌসুমী নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণ হয়ে থাকে। এর আগে গত মাসে আম্পানের প্রভাবে মাসের শেষার্ধে বৃষ্টিপাত হয়েছিল।