সুপ্রভাত ডেস্ক »
শরিক দলগুলির সঙ্গে বিজেপির দীর্ঘ আলোচনায় রফা চুড়ান্ত হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বুধবার (৫ জুন) বিকেলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএর শরিক দলগুলোর বৈঠক শেষ হয়েছে।
৫৪৩ আসনের ভোটের ফলাফলে বিজেপি ২৭২ আসন না পাওয়ায় এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না ক্ষমতাসীন দলটি।
তবে বিজেপিকে সমর্থন দিয়ে সরকার গঠনের পথ সহজ করে দিয়েছে বিহারের জনতা দলের (জেডি-ইউনাইটেড) প্রধান নীতিশ কুমার ও অন্ধ্র প্রদেশের তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু।
শরিক দলগুলির সঙ্গে বিজেপির দীর্ঘ আলোচনায় রফা চুড়ান্ত হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বুধবার (৫ জুন) বিকেলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএর শরিক দলগুলোর বৈঠক শেষ হয়েছে।
জেডিইউ ও টিডিপি। এই দুই শরিকই সরকার গঠনের মূল কারিগর। বুধবার শরিক দলগুলির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় রফা চূড়ান্ত হওয়ার পর এনডিএ জোটকে সমর্থন দিলেন নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু। সূত্রের খবর, দুই দলনেতার কাছ থেকে লিখিত সমর্থন পাওয়ার পর বুধবার রাতেই রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানাবে বিজেপি।
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বুধবার রাতেই বিদায়ী মন্ত্রিসভাকে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই নৈশভোজে যোগ দেওয়ার আগে এদিন সকালেই সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দেয় বিজেপি। এনডিএ’র সব শরিকদের নিয়ে রাজধানীর ৭ লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শুরু হয় বৈঠক। পাশে নীতীশ ও চন্দ্রবাবুকে নিয়ে বেশ উৎফুল্ল মেজাজেই ফ্রেমে ধরা দেন মোদি। ফলে মনে করা হচ্ছে, দাবি-দাওয়া নিয়ে সংঘাতের মেঘ আপাতত কেটেছে। সূত্রের খবর, পাঁচ থেকে ছটি ক্যাবিনেট পদ দাবি করেছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। জেডি(ইউ) শিবিরেও নাকি হাওয়া উঠছে নীতীশই প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার। পাশাপাশি অমিত শাহকে নাকি পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছেন না জেডি(ইউ) প্রধান। এই সব দাবিদাওয়ার মধ্য থেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ রফাসূত্র বের হওয়ার পর সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।
২৯৩ আসনে লাভ করা এনডিএ জোটের নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচিত করা হয়েছে এবং আগামী শনিবার তিনি শপথ নিতে পারেন।
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী মন্ত্রীসভার নৈশভোজ সম্পন্ন হওয়ার পর রাতেই নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত হবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর এনডিএ শরিক দলগুলির সমর্থনপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।