‘প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ হলেন রাষ্ট্রের সেবক। চাকরির বিধিমালা অনুসারে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আইনানুযায়ী সততার সাথে কর্মজীবন অতিবাহিত করবেন। এটাই রাষ্ট্র প্রত্যাশা করে। দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা অগ্রগতির বাস্তব প্রতিফলন ঘটে পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে। রাষ্ট্রে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও সরকারি কর্মকর্তাদের হতে হয় নির্মোহ নির্দলীয়। কারণ তারা জনগণের সেবক। তাদের কর্মদক্ষতা, আন্তরিকতায় দেশ সমৃদ্ধির পাণে এগিয়ে যায়।’
বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর অভিজাত ক্লাবে (সিনিয়রস ক্লাব) চসিক আয়োজিত সদ্য বদলীর আদেশপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন এর বিদায়ী সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আবু হাসান সিদ্দিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম জাকারিয়া, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, দেশ পরিচালিত হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো সুখী সুন্দর স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার। তাই তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের সব সময় গরীব মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করার তাগিদ দিতেন। সরকারি কর্মকর্তাদেরও উপলব্দি করতে হবে তাদের বেতনসহ সার্বিক খরচ রাষ্ট্র নির্বাহ করে জনগণের করের প্রাপ্য টাকা থেকে। তাই তারা সামাজিক ও রাষ্ট্রিক দায়বদ্ধতা কখনো এড়াতে পারেন না।
তিনি সদ্য বিদায়ী চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেন আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে তার কর্মকালীন দায়িত্ব পালন করায় তাকে ধন্যবাদ জানান। প্রশাসক বলেন, সব সরকারি কর্মকর্তার উচিত ইলিয়াছ হোসেনের মত কর্মকর্তাদের কর্মজীবনকে অনুসরণ করা। তাহলে দেশ সুন্দর হবে।
এর আগে বিদায়ী চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেনকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর