নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার <
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের মেরিন মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন হিমছড়ি পয়েন্টে ভেসে উঠেছে বিশালাকার মৃত তিমি। গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে মৃত তিমিটি দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
তিমিটি ভেসে উঠার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত উৎসুক জনতা একনজর দেখতে সৈকতে ভিড় জমায়। দুপুরে জোয়ারের পানি পুরোপুরি নেমে না যাওয়ায় মাছটি সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়নি। পরে পূর্ণ ভাটায় সাগরের বালুতটে পড়ে থাকা মৃত তিমি স্পষ্ট দৃশ্যমান হয়। সাগরের পানিতে ভাসতে ভাসতে মৃত তিমিটির সামনের অংশ বিকৃত হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ, বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় জেলেদের ধারণা তিমিটি ৭ দিন আগে মারা গেছে। যার অনুমানিক ৭ বছর বয়স হবে।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মৃত তিমিটি ৪৪ ফুট দীর্ঘ এবং ২৬ ফুট প্রস্থ। লকডাউনের কারণে সাগরে মাছধরার ট্রলার বন্ধ। তাই তিমিটি সহজেই তীরে ভেসে এসেছে বলে ধারণা করেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। অনেকে বলছে, বাংলাদেশের জলসীমায় স্বভাবত এত বিশালাকার তিমির দেখা মেলে না। শান্ত সাগরে কিভাবে এটি তীরে ভিড়লো?
এদিকে, সাগর পাড়ে তিমি ভেসে আসার খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে যান। তারা মৃত তিমিটি দেখেন।
মৃত তিমি পরিদর্শন শেষে এডিসি মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি তিমি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে করণীয় ঠিক করা হবে।
তিনি বলেন, সাগরে লক্ষ প্রজাতির প্রাণীর বিচরণ। মাঝেমধ্যে কিছু কিছু প্রাণী মারা যাওয়াটা স্বাভাবিক। তবু কোন কারণে তিমিটি মারা গেছে তা নির্ণয়ের চেষ্টা করা হবে।
গভীর সাগরে বড় জাহাজের ধাক্কা অথবা অসুস্থতা বা হত্যার কারণে তিমিটির মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে পরিবেশবিদদের ধারণা।
এ মুহূর্তের সংবাদ