নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া »
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ছেলে লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডের খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা রোকেয়া বেগম (৮০)।
জানা গেছে, লিয়াকতের মা দীর্ঘদিন নানা রোগব্যাধিতে ভুগছেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা সিনহা হত্যা মামলার রায় শুনতে কক্সবাজার আদালতে যান। বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের জন্য ১ নম্বর আসামি লিয়াকত আলী, ২ নম্বর আসামি প্রদীপ দাশকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। মামলার আসামি নন্দ দুলালসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত এবং বাকী ৭ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লিয়াকতের গ্রামের বাড়ি পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, রায়ের খবর শুনে লিয়াকতের বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় আশপাশের লোকজন এসে লিয়াকতের বাড়িতে ভিড় করে। লিয়াকত পূর্ব হুলাইন গ্রামের মৃত সাহেব মিয়ার পুত্র। তারা ৬ ভাই ১ বোন। এর মধ্যে লিয়াকত সবার ছোট। ২০১০ সালে সে পুলিশের চাকুরিতে যোগদান করেন। প্রথমে ডিবি, পরে সোয়াত ও অ্যান্টি টেরিরিজম টিমে কাজ করেন। এরপর পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর টেকনাফ থানার অধীনে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে যোগদান করেন। তার দুই ভাই নেভিতে চাকরি করেন। ভাই আবু তাহের সাবেক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও মনছুর আলী নেভাল প্রভোস্ট অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেন।
হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, সিনহা হত্যার রায়ের দিন লিয়াকতের পরিবারের লোকজন কক্সবাজারে চলে যান। বিকেলের দিকে রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘোষণা তাৎক্ষণিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে তার বৃদ্ধা মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদারের কাছে লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে পটিয়ায় কোন প্রতিক্রিয়া আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিনহা হত্যার ঘটনার রায় নিয়ে পটিয়ায় এ পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।