সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
আগামীকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট শুরু হওয়া পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে এই কন্ডিশনে ধীর ও নিচু হয়ে আসা উইকেটে স্বাগতিক পেসার মুস্তাফিজুর রহমান এবং স্পিনারদের খেলাটা অনেক বেশি কঠিন হবে বেশ ভাল করেই জানে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। তা সত্ত্বেও, দলের ব্যাটসম্যানদের উপর আস্থা রাখছে নিউজিল্যান্ড। মুস্তাফিজ এবং স্পিনার সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত বোলিং গত সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপকে ধ্বসিয়ে দিয়েছে। তাদের নৈপুন্যে সিরিজটি ৪-১ ব্যবধানে জিততে পারে বাংলাদেশ।
কন্ডিশন স্পিন সহায়ক হবার পরও মুস্তাফিজ হোম কন্ডিশনে বাংলাদেশকে প্রায় অজেয়ই করে তুলেছেন। এই কন্ডিশনে মুস্তাফিজ তার রহস্যময় স্লোয়ার এবং কাটার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন। এই কন্ডিশনে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বোলার হিসেবে বিশেষ কাউকে বেছে নেয়া সহজ নয় বলে জানান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম। তিনি বলেন, ‘তারা সকলেই তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। নিজের স্লোয়ারের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ইনিংস শুরু করা বোলার মুস্তাফিজ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার বোলিং আমরা দেখেছি।’ লাথাম আরও বলেন, ‘ আমরা জানি স্পিনাররা শুরুতে ও মাঝের ওভারগুলোতে দারুন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিবে। ছেলেরা গত পাঁচ দিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে যাতে নিজেদের পরিকল্পনা দিয়ে প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করতে পারে। আমরা আগামীকাল তাদের মুখোমুখি হবার অপেক্ষায় আছি।’
শুধুমাত্র বোলাররাই নয়, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ভালোভাবে জানে এই কন্ডিশনকে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে। তিনি বলেন, ‘স্বাগতিক দলের সকলেই হুমকি স্বরূপ। আমরা দেখেছি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তারা কত ভালো খেলেছে। তাদের গ্রুপে কিছু দুর্দান্ত স্পিনার এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। আমাদেও ব্যাটিং লাইনআপকে স্পিনারদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। তাদের কিছু ভয়ডরহীন ব্যাটসম্যান আছে, ম্যাচটি এগিয়ে নেয়ার ক্ষমতা রাখে।’ কিন্তু এই নয় যে, নিউজিল্যান্ড নিজেদের আশা ছেড়ে দিবে। লাথাম বলেন, তারা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সিরিজের উপর ভিত্তি করে নিজেদের প্রস্তুত করেছে। তাদেও বিশ্বাস এখানে পার্থক্য গড়তে পারবে। লাথাম বলেন, ‘এক মাস আগে অস্ট্রেলিয়া যে উইকেটে খেলেছে, সেই উইকেটে জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। নিউজিল্যান্ডে আমাদের কিছু ভাল ক্যাম্প করেছি। আমাদের এমন একটি উইকেটে খেলতে হবে যা আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা গত পাঁচ দিনে এখানকার অবস্থার সাথে মানিয়ে নিয়েছি। এখানে আমাদের পাঁচটি ম্যাচ আছে, তাই দুই বা তিনবার উইকেট ব্যবহার করা হবে। আমাদের প্রতিটি ম্যাচে প্রতিটি উইকেটের সাথে মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে আমাদের ভাগ্যে কি আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে, পরিকল্পনায় স্থির থাকতে হবে। দেখা যাক দলকে কতটা কি দেওয়া যায়। আমি নিজে কিংবা বা ছেলেরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখিই হই না কেন আমাদের সেরা দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা জানি সামনে আমাদেও একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের সেরাটা খেলতে হবে। তবে ছেলেরা এর জন্য প্রস্তুত।’