সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক টি-২০ থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মুশফিকুর রহিম। তার এই অবসর নেয়াটা মোটেও প্রত্যাশিত মনে হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। গত রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে মুশফিক আন্তর্জাতিক টি-২০ থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।
বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলে মুশফিকের অবসরের সিদ্ধান্ত বিসিবি জানাবে। মঙ্গলবার নাজমুল হাসান জানালেন, মুশফিকের অবসর নিয়ে বিসিবির কিছু করার নেই। তবে মাঠ থেকে তাকে বিদায় দিতে পারলে বোর্ডের ভালো লাগতো। খবর ডেইলি বাংলাদেশ’র। পাপন জানান,‘আমি রোববার ঘুম থেকে উঠে দেখি মুশফিকের একটা মেসেজ, আমি টি-২০ থেকে অবসর নেব। আমি ওটা পড়ে ওকে রিপ্লাই দেবো এমন সময় বোর্ড থেকে আমাকে ফোন দিয়ে বলছে, ও অলরেডি বিসিবিকে, আমার কাছে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে। এরপর টিভিতে, পত্রিকায় দেখলাম। এরপর আর আমার কী বলার থাকতে পারে।’
অভিজ্ঞতার কারণে মুশফিককে দলে ফেরানো হয়েছিল। কিন্তু এশিয়া কাপে রান না পাওয়ায় এ ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়ে নেন মুশি।
পাপন বলেন, খেলার আগের দিন ওকে ফোন দিয়েছিলাম। বলেছি, ‘মুশফিক শোনো, শ্রীলংকার সবাই তোমার ভয়ে অস্থির। তোমার ভয়ে ওরা কাঁপছে। এগুলো এমনিই বলছি। ওর সাহস বাড়ানোর জন্য। কিন্তু মাঠে সেদিন ভালো করতে পারলো না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার ধারণা, ক্যাচ মিসের কারণেই ও ছেড়ে দিয়েছে। ও তো আবার একটু আবেগপ্রবণ বেশি। নিজেকে নিয়ে বেশি চিন্তা করে। ক্যাচ তো ড্রপ হতেই পারে।’
মুশফিকের এ সিদ্ধান্তের পেছনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চাপ বড় প্রভাব রেখেছে বলে মনে করছেন নাজমুল হাসান।
পাপন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হতে পারে। এটা হবেই। কিন্তু তারা কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চাপ নিতে পারে না। আমি মুশফিককে মিস করবো (টি-টোয়েন্টিতে)। আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যে মুশফিক অন্যতম। এটাতে কোনও সন্দেহ নেই। তামিম আমাদের সেরা ওপেনার। মুশফিক সেরা ব্যাটসম্যান। এটা দশ বছর ধরে বলে আসছি।’