সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
দীর্ঘদিন ফর্ম খরায় ভূগতে থাকা মিস্টার ডিপেন্ডেবল জ্বলে উঠলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আরও একবার নিজের যোগ্যতার জানান দিচ্ছেন তিনি।
প্রথম টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫০০০ রান সংগ্রহ করার মাইলফলকে পৌঁছানোর পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় টেস্টেও হাঁসছে তার ব্যাট। খবর বাংলানিউজের
ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করে লিটনের শতক হাঁকানোয় রাখেন বড় অবদান। থিতু হয়ে নিজেও তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। এই যাত্রায় মুশফিকের খেলতে হয়েছে ২১৮ বল, হাঁকিয়েছেন ১১টি বাউন্ডারি।
এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে গতকাল সোমবার মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক।
বাংলাদেশের একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন। চট্টগ্রাম টেস্ট চলার সময় চোটের কারণে ছিটকে যান শরিফুল ইসলাম। এছাড়া একই টেস্টের পর জানা যায় নাঈম হাসানের মাঠের বাইরে যাওয়ার খবর। এই দুইজনের বদলে খেলবেন পেসার ইবাদত হোসেন ও অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ম্যাচ শুরু হতে না হতেই কাসুন রাজিথার বলে বোল্ড হয়ে গেলেন মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে পেছনে গিয়ে খেলতে চান জয়, কিন্তু পা আটকে থাকে ক্রিজেই। তার ব্যাট ও প্যাডের মাঝে দিয়ে বল যায় স্টাম্পে। পরের ওভারেই উইকেট বিলিয়ে দেন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। আসিথা ফার্নান্দোর চতুর্থ বলে লেগে খেলতে গিয়ে প্রবীন জয়বিক্রমার তালুবন্দি হন তামিম। জয়ের মতো শূন্য রানে বিদায় নেন দেশসেরা এই ওপেনারও। এরপর ব্যাট করতে নেমে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি মুমিনুল হকও। আসিথার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৯ রানে বিদায় নেন টাইগার অধিনায়ক।
সপ্তম ওভারে এসে জয়ের মতো বোল্ড হন নাজমুল হোসাইন শান্তও। রাজিথার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ব্যাট করতে নামা সাকিব আল হাসান প্রথম বলেই হন এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। ডাক মেরে সাঝঘরে ফেরেন তিনি।
বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুললেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।