৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন চট্টগ্রাম শহরের বেশ কয়েকজন গ্রুপ কমান্ডার মিলে ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন চট্টগ্রাম শহর গ্রুপ কমান্ডারস সম্মিলন’ নামে একটি নতুন সংগঠনের সৃষ্টি করেছেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে ৩১ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ঘোষণায় বলা হয় মুক্তিযোদ্ধার সম্মান ও স্বার্থ রক্ষার জন্যই তাদের এই উদ্যোগ।
তারা জানান চট্টগ্রাম শহরের বেশ কয়েকজন যুদ্ধকালীন কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডারসহ অসংখ্য যোদ্ধা তালিকায় স্থান পাননি। তারা জানান যাচাইবাছাই কমিটিতে এলাকার সব যুদ্ধকালীন কমান্ডারদের যুক্ত না করাতেই এমন হয়েছে।
কারণ একটি গ্রুপের কমান্ডার অন্য গ্রুপের সদস্যদের কখনোই চিনবেন না। যাচাই বাছাই কমিটিতে সর্বোচ্চ দুজন করে কমান্ডার থাকেন। ফলে অন্য বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরা বিপাকে পড়েছেন।
এর প্রেক্ষাপটে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যুদ্ধকালীন কমান্ডাররা ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যে সকল যোদ্ধা তাদের সাথে যুদ্ধ করেছেন (জীবিত এবং মৃত) তাদের তালিকা তৈরি করবেন। যেসব কমান্ডাররা (জীবিত এবং মৃত) এখনো তালিকাভুক্ত হননি তাদের তালিকাভুক্ত করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন যাতে সরকার উদ্যোগ নিয়ে তাদের তালিকাভুক্ত করেন।
তারা জানান, বিদ্যমান তালিকা নিয়ে তাদের কোন বিরোধ নেই। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম বা মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যান্য কোন সংগঠনের সাথেও তাদের কোন বিরোধ নেই। তাদের লক্ষ্য হলো তাদের নিজ নিজ গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধাদের, একটি সঠিক তালিকা তৈরি করে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো।
সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধকালীন কমান্ডারদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. মাহফুজুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ,ফকির জামাল, মোহাম্মদ হোসেন, নুরুদ্দিন চৌধুরী, বেইজ সংগঠক মো হারিস প্রমুখ।
এছাড়া ডেপুটি কমান্ডারদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মো শামসুল আলম, আনোয়ারুল আজিম, ফজলুল হক ভুইয়া, আবুল কাসেমসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর