সুপ্রভাত ডেস্ক »
মান্ডালেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী লাল ও সবুজ রঙ্গের পতাকা নিয়ে মোটর-সাইকেলে করে শহরটি প্রদক্ষিণ করে । অসামরিক শাসন ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন বিষয়ে সামরিক সরকারের সঙ্গে কোন আপোষ আলোচনার সম্ভাবনা তারা নাকচ করে দেয়। একটি ব্যানারে লেখা ছিল , “ রক্তাক্ত এই সংঘাতে কোন আপোষ নয়”।
মিয়ান্মারে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের ৬ মাস পূর্তির প্রাক্কালে মান্ডালায়তে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী আজ শনিবার মিয়ান্মারের সামরিক হুন্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং একটি মানবাধিকার গোষ্ঠি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে।
মান্ডালেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী লাল ও সবুজ রঙ্গের পতাকা নিয়ে মোটর-সাইকেলে করে শহরটি প্রদক্ষিণ করে । অসামরিক শাসন ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন বিষয়ে সামরিক সরকারের সঙ্গে কোন আপোষ আলোচনার সম্ভাবনা তার নাকচ করে দেয়। একটি ব্যানারে লেখা ছিল , “ রক্তাক্ত এই সংঘাতে কোন আপোষ নয়”।
নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক হিউমান রাইটস ওয়াচ শনিবার বলেছে এই অভুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে সশস্ত্রবাহিনী যে সহিংস ভাবে দমন করেছে এবং নির্যাতন, হত্যা ও গ্রেপ্তারসহ যে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে তা আন্তর্জাতিক মানবিক কনভেনশনের লংঘন।
হিউমান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেছেন , “ জনগণের উপর এই আক্রমণ মানবাতার বিরুদ্ধে অপরাধের সমতূল্য এবং এর জন্য যারা দায়ি তাদরেকে জবাআদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
হিউমান রাইটস ওয়াচের এই অভিযোগ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ার জন্য সামরিক কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জাও মিন তুন কে পাওয়া যায়নি কারণ তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।
দ্য এসোসিয়েশন ফল পলিটিকাল প্রিজানার্স নামের সক্রিয়বাদী একটি গোষ্ঠী বলছে ঐ সামরিক অভুত্থানের পর কমপক্ষে ৬,৯৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । গোষ্ঠীটি বলছে সশস্ত্র বাহিনী ৯৩৯ জনকে হত্যা করেছে তবে সামরিক বাহিনী বলছে এই সংখ্যা বাড়িয়ে বলা হয়েছে।
সামরিক বাহিনী তাদের বিরোধীদের সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করছে এবং বলছে তাদের ক্ষমতাগ্রহণটি সংবিধানসম্মত ছিল।
সূত্র : ভিওএ