নিজস্ব প্রতিনিধি, মিরসরাই »
চট্টগ্রামে বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশে যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে গাড়ি তল্লাশি ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় সরকারি দলের হামলায় বিএনপির অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া বুধবার ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রামমুখী গাড়ি তল্লাশি এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ বিএনপির।
বারইয়ারহাটে হামলায় আহত হয়েছেন বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জসীম উদ্দিন (৫০), হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কাজী ছালেহ আহম্মদ (৫২), পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম হাজারী (৫০), বিএনপি নেতা জাফর আলম লিটনসহ (৪০) ১০ জন। আহতদের উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বারইয়ারহাটে আমাদের ৪ জন নেতাসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া গত মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি দলের লোকজন মহড়া দিচ্ছে। উপজেলার সমস্ত বাস, মাইক্রো, হাইচের মালিক ও চালকদের বিএনপির ভাড়া না ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে বারইয়ারহাট, জোরারগঞ্জ, ঠাকুরদীঘি, মিরসরাই সদর, বড়তাকিয়া, কমলদহ, ডাকঘর, বড়দারোগাহাটে বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি করে উত্তর দিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে সরকারি দলের লোকজন। কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন তিনি।
ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আকবর বলেন, মিরসরাইয়ের নিজামপুর কলেজের সামনে আমার গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে ৭টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। এ সময় আমাদের নেতা-কর্মীরা আহত হয়েছেন।
উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আশরাফুল কামাল মিঠু বলেন, নিজামপুর এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কোন নেতাকর্মী বিএনপির উপর হামলা করেনি, বরং বিএনপির নেতাকর্মীদের বহন করা একটি গাড়ি ছাত্রলীগের এক কর্মী ধাক্কা দিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
তবে এসব বিষয় অস্বীকার করে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘ ইউএনওসহ আমি রাস্তায় ছিলাম। হামলার অভিযোগ মিথ্যা। তারা (বিএনপির লোকজন) সকালে শহরে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের বহরে গাড়ি তুলে দিয়ে একজনকে গুরুতর আহত করেছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নূর হোসেন মামুন বলেন, বারইয়ারহাটে হামলার ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির কোন নেতা-কর্মীর হামলা করেনি। বিএনপির নিজের গ্রুপিংয়ের কারণে হয়তো হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।