নিজস্ব প্রতিনিধি, মিরসরাই »
মিরসরাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করায় মেম্বার প্রার্থীসহ ৬ জনকে আটক করেছে র্যাব। এসময় একজন পুলিশসদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের জিন্নাত বিবি সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্রে ঁ ৩য় পৃষ্ঠার ২য় কলাম
ঁ ১ম পৃষ্ঠার পর
এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যের নাম মো. আরশ।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সাইদুর রহমান চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় মেম্বার প্রার্থী আজিজুল হক শিপনের সমর্থকরা কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালায়। এসময় কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দিলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর একপর্যায়ে কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ সদস্য মো. আরশের পায়ে রাবার বুলেট লাগে। পরে খবর পেয়ে র্যাবের একটি টিম এসে মেম্বার প্রার্থী আজিজুল হক শিপনসহ ৬ জনকে আটক করে।
এদিকে ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোস্তফা ও খৈয়াছরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহেদ ইকবাল চৌধুরী কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেন।
অন্যদিকে করেরহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী জহিরুল হক ও তার সমর্থকদের উপর হামলা করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন মিরসরাই সদর ইউনিয়নের মাজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের মেম্বার প্রার্থী নাছির করিম (ফুটবল)। তিনি অভিযোগ করেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাজ উদ্দিন বাচ্চু (মোরগ) সকাল থেকে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করে ভোটারদের বের করে দেয়। তাই তিনি ভোট বর্জন করেছেন।
খৈয়াছরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, সকাল থেকে তার ইউনিয়নে কেন্দ্র দখলের মহোৎসব শুরু হয়। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহফুজুল হক জুনু (নৌকা) সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেয়ায় তিনি নির্বাচন বর্জন করেছেন।
ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী জিয়াউল ইসলাম সুমনের সমর্থকদের পিটিয়েছে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন জানান, কোন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেননি।