নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরের আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় পুলিশের হাতে মা-বোনের লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা সহ্য করতে না পেরে মারুফ নামে এক তরুণ আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার জেরে মো. হেলাল নামে ডবলমুরিং থানার এক এসআই ক্লোজড হয়েছেন।
মারুফের আত্মহত্যা বিষয়টি তদন্ত করতে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) ও ডবলমুরিং থানার ওসি (তদন্ত)। কমিটিকে আজ শুক্রবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবেন।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম জোন) ফারুক-উল হক জানান,বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মারুফ ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল গতকাল দুপুরে মারুফের বাসায় গিয়ে তার মা-বোনকে লাঞ্চিত করেন। পুলিশ কর্তৃক মা-বোন অপমানিত হওয়া এবং তাদের থানায় নিয়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি মারুফ। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
সূত্রটি জানায়, এর আগে বৃস্পতিবার সকালে আগ্রাবাদের বাদামতলি মসজিদ গলির বাড়ির পেছনে ঘুরাফেরা করতে দেখে মারুফসহ কয়েকজন যুবক পুলিশের এক সোর্সকে গণপিটুনি দেন। এসময় সেখানে ডবলমুরিং থানার এসআই হেলালসহ সাদা পোষাকের কিছু পুলিশ সদস্য এসে ধরপাকড় শুরু করলে মারুফ পালিয়ে যান। মারুফকে না পেয়ে এসআই হেলাল তার মা-বোনকে লাঞ্চিত করে আটক করে থানায় নিয়ে যান। এ অপমানিত সইতে না পেরে চাচার ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করেন মারুফ।