সুপ্রভাত ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেওয়া ২৬৯ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ঢাকাকে অনুরোধ করবে বলে মালয়েশিয়ার একটি পরিকল্পনার যে খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ তা সরাসরি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, ঢাকা এই ব্যাপারে অনিচ্ছুক এবং তাদের এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার বাধ্যবাধকতাও নেই।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে মালয়েশিয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদনের প্রেক্ষিত্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন গতরাতে জানান, বাংলাদেশ তাদের (রোহিঙ্গাদের) ফিরিয়ে আনবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গার আশ্রয় প্রদানে বাধ্যও নয়, যদিও বর্তমানে দশ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান করা হয়েছে।
মোমেন বলেন, কোনো রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ার ভূখন্ডে ঢুকলে এবং সেখানে আটক হলে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই। রোহিঙ্গারা কয়েক শতাব্দী ধরে মিয়ানমারের নাগরিক, তারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়।
এই সপ্তাহের শুরুতে মালয়েশিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করায় প্রায় ৩ শ’ রোহিঙ্গাকে আটকের পর তাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করে।
মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব ঢাকা পালন করবে না এবং আমরা বরং এখন বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয়ে থাকা ১১ লাখ রোহিঙ্গা অন্যত্র সরিয়ে নিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে স্বাগত জানাব।
তিনি আরো বলেন, অন্য দেশগুলোকেও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্যও স্বাগত জানাই।
ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এর আগে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, মালয়েশিয়ায় আটক রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব মিয়ানমারের।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ ২ শ’ ৬৯ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করে এবং মালয়েশিয়ার উত্তর উপকূল থেকে মালয়েশিয়ান দ্বীপের কাছে একটি ভাঙা নৌকা থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ।
মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকবকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানায়, কুয়ালালামপুর অভিবাসীদের বাংলাদেশের ভাসান চর দ্বীপে স্থানান্তরের জন্য অনুরোধ করতে পারে যেখানে বাংলাদেশ এর আগে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করেছিল।
এতে আরও জানানো হয়, মালয়েশিয়া একটি তৃতীয় দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-কে অনুরোধ করার পরিকল্পনা করেছে।