নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
মালয়েশিয়া পাচারকালে রোহিঙ্গাসহ ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি দল সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার একটি বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে মালয়েশিয়াগামী এ ২০ জনকে উদ্ধার করে।
এ সময় পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ তিন দালালকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার ২০ ভিকটিমের মধ্যে রয়েছে ৮ জন বাংলাদেশি ও ১২ জন রোহিঙ্গা নর-নারী।
আটক তিন দালাল হচ্ছে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কচুবনিয়া এলাকার আব্দুল্লাহ ও রিদুয়ান এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার নুনা বেগম।
আটক নুনা বেগম বলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী এলাকার হাফেজুর রহমানের পুত্র মানব পাচারকারী সাইফুল ও একই এলাকার ইসমাইল নামে দুই যুবক অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে ধমক দিয়ে ২০ মালয়েশিয়াগামীকে তার বসতবাড়িতে রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং জনপ্রতি ৫০০ টাকা দেবে বলে অঙ্গীকার করেন।
সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন।
তিনি বলেন, মানব পাচারকারী দালালরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা রোহিঙ্গা নর-নারী ও হতদরিদ্র যুবকদের টার্গেট করে কম টাকার বিনিময়ে ফিশিং ট্রলারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারীদের সহায়তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়া পাড়ি দেওয়ার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
ঠিক একই নিয়মে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার একটি বসতবাড়িতে রেখে অবৈধভাবে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাঠানোর চেষ্টা করেছে। এরপর উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ওই বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২০ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করার পাশাপাশি জড়িত তিন দালালকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার পর কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে।