মার্কেটে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে ১১ সিদ্ধান্ত

জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নগরের মার্কেটগুলোর অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে অনমনীয় অবস্থানে যেতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকা-।
জাতীয় দুর্যোগসহ অগ্নি দুর্ঘটনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদেরকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বঙ্গবাজারের মতো পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোয় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিশেষ সভা গত সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মার্কেটে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে ১১টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
মার্কেটে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে গ্রহণ করা ১১ সিদ্ধান্তের মধ্যে আছে, প্রতিটি দোকানের ফায়ার লাইসেন্সসহ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সংরক্ষণ করতে হবে। অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র হালনাগাদ থাকতে হবে। দোকানদার ও কর্মচারীগণকে ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি মার্কেট সমিতির অগ্নি নির্বাপণসহ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় নিজস্ব প্ল্যান থাকতে হবে। মার্কেট সমিতি বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগাবেন। সিসি ক্যামেরা নজরদারির জন্য মার্কেট সমিতি ৩-৪ জন কর্মচারী নিয়োগ দেবেন। কর্মচারীরা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন। ডিস ও ইন্টারনেটের লাইন আন্ডারগ্রাউন্ডে নেয়ার জন্য মার্কেট সমিতি কর্তৃক ডিস ও ইন্টারনেটের মালিকদের অনুরোধ করবেন। ব্যক্তি মালিকানাধীন মার্কেটসহ সিটি কর্পোরেশন, সিডিএর নিয়ন্ত্রণাধীন মার্কেটসমূহের ব্যবসায়ী সমিতিকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। যাতে মার্কেটে রিজার্ভ ট্যাংক, গাড়ি পার্কিং এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। প্রতিটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতি তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভলান্টিয়ার নিয়োগ করবেন। তারা মার্কেট বা বাজার পরিদর্শন করে স্ব স্ব বাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিকে নিরাপত্তার তথ্য জানাবেন।
এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছে। নিঃসন্দেহে জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। সিদ্ধান্ত নেয়া যায় কিন্তু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাটাই আসল চ্যালেঞ্জের কাজ। কঠোর মনিটরিং করা না গেলে এই সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। নগরীর মার্কেটগুলোর অগ্নি ঝুঁকি এড়াতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ সফল করতে সব মহলের সহযোগিতা জরুরি।