সুপ্রভাত ডেস্ক »
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মার্কিন শুল্ক নিয়ে যে ‘নন-ডিসক্লোজার’ চুক্তি হয়েছে, তা প্রকাশযোগ্য না। এখানে প্রতিযোগী দেশের কথা বিবেচনা করতে হবে। এটা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) চুক্তি না, এটা একটা দেশের সঙ্গে আরেকটা দেশের ওয়ান-টু-ওয়ান চুক্তি।
আজ বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, শুল্ক আরও একটু কম হলেও ভালো হতো। তবে অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো জায়গায় রয়েছে। এ নিয়ে চুক্তি এখনও হয়নি। সেখানে কোথায় কী কমানো লাগবে, সেটা চুক্তির পর জানা যাবে। এরপরও সমঝোতার সুযোগ আছে কিনা, সেটা পরে দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের এক বছরে অর্থনীতি অনেকটা স্বস্তির জায়গায় এসেছে। মূল্যস্ফীতি একদিনে কমানো সম্ভব না, এটা ঘোড়ার লাগাম না। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো করা হবে।
নির্বাচনী বাজেটের ব্যাপারে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যে বাজেট প্রয়োজন, তা দেয়া হবে। তবে কত বাজেট, সেটা তো এখন বলা যাবে না। নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাহিদা দেবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের হার ২০ শতাংশের ঘোষণা এলেও দেশটির সঙ্গে এখনও কোনো চুক্তি হয়নি। চুক্তির খসড়া তৈরির কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর)। খসড়া শেষ করার পর তারা তা বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তা দেখে ও মতামত দিয়ে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর দিন ঠিক করে যুক্তরাষ্ট্রে উভয় পক্ষের চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
উল্লেখ্য, আজ থেকেই কার্যকর হবে আলোচিত রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পাঠালেই দিতে হবে বর্ধিত শুল্ক। বাংলাদেশের জন্য বাড়তি শুল্কহার নির্ধারণ হয়েছে ২০ শতাংশ শুল্ক। সঙ্গে যোগ হবে আগের সাড়ে ১৬ শতাংশ।