সুপ্রভাত ডেস্ক »
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে এসে ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়া, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার তার অলাভজনক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এএফপির।
নিজের জন্মস্থান জর্জিয়ার প্লেইনসে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নিজ বাড়িতে হাসপাতালের সুবিধাসম্পন্ন বিশেষ যত্নে ছিলেন কার্টার। এই ছোট শহরটিতেই তিনি বেড়ে উঠেছিলেন এবং পিচ স্টেটের গভর্নর ও হোয়াইট হাউসে অভিষিক্ত হওয়ার আগে এখানে একটি বাদাম ফার্ম হাউস পরিচালনা করতেন।
কার্টার সেন্টার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জিমি কার্টার শান্তিপূর্ণভাবে প্লেইনসে তার বাড়িতে আত্মীয়স্বজন পরিবেষ্টিত অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ছেলে চিপ কার্টার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমার বাবা একজন ‘নায়ক’ ছিলেন, শুধু আমার কাছেই নয় যারা শান্তি, মানবাধিকার ও স্বার্থহীন ভালোবাসায় বিশ্বাস করেন তাদের সবার কাছে তিনি এমনটি ছিলেন।”
২০১৫ সালে দক্ষিণাঞ্চলীয় এই ডেমোক্র্যাটের ব্রেইন ক্যানসার ধরা পড়ে। তার একক মেয়াদকালে জিমি কার্টার ছিলেন মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিতপ্রাণ। মেয়াদের প্রথম দুই বছরে তার সফলতার মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল ও মিশরের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্থাপনের বিষয়টি, যা ইতিহাসে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি নামে সমধিক পরিচিত। তবে তার সমালোচনাও কম হয়নি। ইরানে মার্কিন পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে ১৯৮০ সালে তার ব্যর্থ উদ্যোগ বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়। এছাড়া তেল সঙ্কট নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে।
১৯৮২ সালে জিমি কার্টার তার কূটনৈতিক উদ্দেশ্য প্রকাশে কার্টার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে জিমি কার্টার তার সামাজিক ও আর্থিক ন্যাবিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়াসের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি একজন সক্রিয় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে বেশ সুনাম কুড়াতেও সক্ষম হন।