নিজস্ব প্রতিবেদক »
২০১৬ সালে রাজাকার ও যুদ্ধপরাধীদের বিচারের রায় নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হুদাকে জবাই করে হত্যার দায়ে তার তিন ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন ও এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোজাম্মেল হক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, চকরিয়া বদরখালী মগনামাপাড়ার নুরুল হুদার ভাই নুরুল আজিজের তিন ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক, ইউনুছ হোসাইন মানিক ও ইব্রাহিম মোস্তাফা কাইয়ুম। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. সোহায়েত। খালাস পেয়েছেন শেফায়েত। নিহত নুরুল হুদা বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। সম্পর্কে দণ্ডিত আসামিদের চাচা।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইয়ুব খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘১৩ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে চকরিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হুদা হত্যা মামলায় তিন ভাতিজাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। মো. সোহায়েত নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শেফায়েত নামে একজন খালাস পেয়েছেন। দণ্ডিতদের মধ্যে আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক ছাড়া বাকিরা পলাতক।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩০ জুন রাতে চকরিয়ার বদরখালী বাজার ফেরিঘাট এলাকার এক চায়ের দোকানের টিভিতে সংবাদ দেখে নুরুল হুদা মন্তব্য করেন, দেশে একে একে সব রাজাকারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। এ মন্তব্যের কারণে ভাতিজা আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। রাত সোয়া ১১টা থেকে ১২টার মধ্যবর্তী সময়ে অন্য আসামিদের নিয়ে এসে দোকান থেকে অটোরিকশায় করে নুরুল হুদাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে খুটিয়াখালী মুজিব কিল্লার পাশে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২ জুলাই চকরিয়া থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান।