বীর মুক্তিযোদ্ধা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম এম এ মান্নান, মন্ত্রী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানুর ১৩ তম ও ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন প্রয়াত এই দুই জননেতা অসাম্প্রদায়িক এবং জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদ বিরোধী রাষ্ট্রগঠনে আমৃত্যু লড়াই করেছেন এবং অবদান রেখেছেন। তারা দলের দুঃসময়ে অকুতোভয় কান্ডারী ছিলেন।
তবে সুসময়ে সুবিধাভোগী ছিলেন না। এই কারণেই এই দুইজন আমাদের কাছে চিরস্মরণীয় ও নমস্য। তিনি আরো বলেন আজকের প্রজন্মকে এই দিনের দুইজনের জীবনাদর্শ থেকে অনেক শিক্ষা নেবার আছে। ভোগ নয়, ত্যাগই হচ্ছে একজন রাজনীতিকের মূল বৈশিষ্ট্য।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, মোহ ও চাওয়া-পাওয়া বিযুক্ত মরহুম এম এ মান্নান ও কাজী ইনামুল হক দানু আমৃত্যু পরিশুদ্ধ জননেতা ছিলেন। দুইজনেই দল ও জাতির দুঃসময়ে চরমভাবে নির্যাতিত। কিন্তু কখনো একথাগুলো প্রকাশ্যে বলে ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করেন নি। তাদের সম্পদ ছিল। ঐ সম্পদ ভোগ করেন নি, রাজনীতির প্রয়োজনেই বিলিয়ে দিয়েছিলেন এবং অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন তাঁদের দুজনের রাজনৈতিক শিক্ষায় নতুন প্রজন্মের জন্য সম্পদ। আজ আমরা যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দিন বদলের যাত্রা শুরু করেছি তখন এই দুইজন পরিশুদ্ধ নেতা জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জন্য অনুস্মরণীয় হোক-এই প্রত্যাশ্যা ব্যাখ্যা করে অপশক্তি নির্মূলে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকাটা আজ সময়ের দাবি। কেননা চারিদিকে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি জামাত, যারা বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা চাই নি এবং চাই না। এদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে সরাসরি যুদ্ধ নয়, সাধারণ মানুষের মন জয় করতে হবে এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিসংখ্যানগুলো ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাজী আবু তাহের।
চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী সাহাব উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শেখ হারুনুর রশিদ, মোজাম্মেল হক খোকা, ফারুক খালেদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম ভূইয়া রাসেল, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, কাউন্সিল নূর মোস্তফা টিনু, মো: নাজিম উদ্দিন, সুমন চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম আমিন, আমিনুল হক রঞ্জু, এড. নোমান চৌধুরী, এম এ হান্নান, হাজী সেলিম রহমান, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, বিপ্লব দে, মো: মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, জি এম তওসিফ, সাদ্দাম হোসেন ইভান, মুজিবুর রহমান রাসেল। এতে উপস্থিত ছিলেন জাফর আহমেদ চৌধুরী, শাহেদুল আজম সাকিল, নজরুল ইসলাম, শামসুল আলম, সুজা উদ্দিন চৌধুরী বাবুল, মাঈনুদ্দিন চৌধুরী মিন্টু, অনিমা কামাল, রতন আচার্য্য, আখজার বেগম, নাজমুল হক বাচ্চু, নারায়ণ চন্দ্র, নজরুল ইসলাম ভূইয়া, আলী নেওয়াজ খান পারভেজ, খোরশেদ আলম জনি প্রমুখ।
