মানবতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময় বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। তিনি আজ ২০ জুন (শনিবার) এ মত প্রকাশ করেন।
সুজন বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আমরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিল্প গ্রুপ এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের নিকট অনুরোধ জানিয়েছিলাম চট্টগ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় মানবতার হাত প্রসারিত করার জন্য। আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রামের শিল্পপ্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ, টি কে গ্রুপ, লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যেভাবে মানবতার কাজে এগিয়ে এসেছেন সেজন্য তাদের প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় চট্টগ্রামের আরো অনেক বড়ো বড়ো শিল্প গ্রুপ এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান যারা চট্টগ্রাম থেকে হাজার কোটি টাকা আয় করেছে অথচ নগরবাসীর এ দুঃসময়ে তাদের রহস্যজনক নীরবতা চট্টগ্রামবাসীকে প্রচ-ভাবে হতাশ করেছে।
বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানি বিজ্ঞাপনের জন্য শত শত কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। বিভিন্ন উৎসবেও তাদের খরচের মাত্রা আমাদের অবাক করে। কিন্তু সেই মোবাইল কোম্পানিগুলোও জনগণের চিকিৎসা সেবার সংকটময় এ মুহূর্তে জনগণের পাশে নেই। এদের নীরবতাও আমাদেরকে ব্যথিত করছে।
এছাড়া নগরবাসী সোচ্চার হওয়ার ফলে চট্টগ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থায় কিছুটা গতি এসেছে যেটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তাছাড়া নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্থাপিত ফিল্ড হাসপাতাল এবং আইসোলেশন সেন্টারগুলোও নগরবাসীর চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। তবে নগরীর পুরো চিকিৎসা সেবাকে উপযুক্ত সমন্বয় করে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট বিনীত অনুরোধ জানান তিনি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, নগরীর বেসরকারি হাসপাতালসমূহ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কর্তৃক স্থাপিত ফিল্ড হাসপাতাল এবং আইসোলেশন সেন্টারে মোট কতখানি আইসিইউ-ভেন্টিলেশন বেড কিংবা সাধারণ বেড রয়েছে তার পরিসংখ্যান সরজমিনে পরিদর্শনপূর্বক একটি ডাটাবেইজে সংরক্ষণ করারও আহবান জানান তিনি।
লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে মত প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে সরকার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশিত লকডাউন চতুর্থ দিন অতিক্রান্ত হতে চলেছে। যেভাবে লকডাউন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথা ঠিক সেভাবে সামাল দেওয়া হচ্ছে না। যেভাবে হটলাইনে জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল সেভাবে কাক্সিক্ষত সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না। মানুষের চাহিদামতো জিনিসপত্র এবং ঔষধ সামগ্রী ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে দক্ষ কর্মপন্থা নির্ধারণ করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের নিকট বিনীত অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, অনেক অনুনয়-বিনয় করা সত্ত্বেও চট্টগ্রামের ইপিজেডসমূহ তাদের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য নিজস্ব আইসোলেশন সেন্টার এবং করোনা পরীক্ষাগার স্থাপন করার কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। এতে করে ইপিজেডসমূহে কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। দেখা যাচ্ছে অনেকে করোনা উপসর্গ নিয়েই চাকুরি চালিয়ে যাচ্ছে জীবিকার তাগিদে।
গার্মেন্টস মালিকদের তিনি শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশা উপলব্ধি করার অনুরোধ জানান। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর