মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক ব্যয় বাড়লো

সুপ্রভাত ডেস্ক  »

‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (সওজ অংশ)’ ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন কাজের জন্য নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তির মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন করে ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে দুই কোটি ৫২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫৪ টাকা এবং মেয়াদ বাড়ছে ১৮ মাস। এতে মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৯ কোটি ৯১ লাখ ৩৭৮ টাকা।

এই ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (সওজ অংশ)’ ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন কাজের জন্য নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তির ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। খবর জাগোনিউজ।

প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন কাজের জন্য নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশের সঙ্গে ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকায় চুক্তি করা হয়। যার মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ২৪ মাস।

কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরোপুরিভাবে শেষ করা সম্ভব হয়নি বিধায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৮ মাস বাড়ানোর জন্য ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ২ কোটি ৫২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫৪ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় কমিটি।

এতে নতুন করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ ১৮ মাস বেড়ে ৪২ মাস হয়েছে। আর ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৯১ লাখ ৩৭৮ টাকা।

এদিকে, বৈঠকে ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ২০০ শয্যার ১০ তলা বিশিষ্ট একটি নতুন ছাত্রাবাস নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ২টি দরপত্র টেকনিক্যালি রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে বিটিসি এবং এপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৩ কোটি ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭ টাকা।