জেটি-কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণকাজ শুরু জুলাইয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের জেটি ও কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ আগামী জুলাইয়ে শুরু হতে পারে বলে জানান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
গতকাল রোববার শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম অব বাংলাদেশ (এসআরএফবি) এবং চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দল নিয়ে মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ তথ্য জানান।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর দৃশ্যমান হয়ে গেছে। ২০২৬ সালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে আগামী জুলাই নাগাদ জেটি ও কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। অর্থনীতিতে ভালো প্রভাব ফেলবে।’
মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে। সেসাথে মাতারবাড়ি বন্দর হবে বাণিজ্যিক হাব।’
জেটি এবং কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পাশে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পাশে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ সকল বন্দর সুবিধাদি নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
এ বন্দর প্রকল্পের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকার মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি অনুমোদনের পরে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে ড্রইং ডিজাইনের কাজ শেষ করা হয়েছে।’
অর্থনীতিতে চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ি বন্দরের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন। মাতারবাড়ি বন্দরও প্যারালাল অর্থনীতির লাইফ লাইন হবে। বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশে সক্ষমতা তৈরি হয়ে গেছে। গত এক মাসে পশ্চিমা দেশের ভিআইপি পারসনরা এদেশে এসেছেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা জেনে গেছেন।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, মাতারবাড়ি বন্দর প্রকল্পের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মো. ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।