সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
চ্যাম্পিয়নরা বোধহয় এভাবেই ফিরে আসে। দীর্ঘ ১৯ দিন করোনার সঙ্গে লড়াই করে ৩০ অক্টোবর সুস্থ হয়েছেন। দু’দিন বাদেই ম্যাচ ফিট হয়ে শুধু মাঠেই নামলেন না সঙ্গে জোড়া গোল করে দলকে জেতালেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রবিবার স্পেজিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে তিন মিনিটের মধ্যেই গোল করলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। রোনালদোর জোড়া গোলে অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রতিপক্ষকে এদিন ৪-১ গোলে হারাল জুভেন্টাস।
১৪ মিনিটে এদিন আলভেরো মোরাতার গোলে এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে শেষ মাচে তিন-তিনবার জালে বল ঢুকিয়েও ভিএআরের সৌজন্যে তা বাতিল হয়েছিল। কিন্তু এদিন অ্যাটলেটিকো
মাদ্রিদ থেকে আসা স্ট্রাইকারের গোলেই ম্যাচে লিড নেয় তুরিনের ক্লাবটি। মজার ব্যাপার হল এদিন মোরাতার গোলটি রেফারি নিশ্চিত করেন ভিএআরের সাহায্য নিয়েই। যদিও সেই গোল ধরে রাখতে পারেনি জুভে। ৩২ মিনিটে তমাসো পোবেগার নির্বিষ শট জুভেন্টাসের এক ডিফেন্ডারের পায়ে সামান্য প্রতিহত হয়ে গোলে প্রবেশ করে।
প্রথমার্ধে ১-১ অবস্থায় শেষ হওয়া ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে প্রবেশ ঘটে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। ৫৬ মিনিটে দিবালার পরিবর্তে পর্তুগিজ মায়েস্ত্রোকে নামিয়ে দেন আন্দ্রে পিরলো। আর মাঠে নেমেই দ্যুতি ছড়াতে শুরু করেন রোনালদো।
৫৯ মিনিটে মোরাতার বাড়ানো বল ধরে বিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করে গোলের খাতায় নাম তোলেন তিনি। আট মিনিট বাদে মাঝমাঠ থেকে লম্বা বল পেয়ে কার্যত একক দক্ষতায় জুভেন্টাসের হয়ে ব্যবধান ৩-১ করেন র্যাবিয়ট। জুভেন্টাসের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয়ে যায় ওখানেই।
কিন্তু তখনও বাকি ছিল রোনালদো ম্যাজিক। ৭৫ মিনিটে বল ধরে বক্সে আগুয়ান কিয়েসাকে ফাউল করে বসেন স্পেজিয়ার এক ডিফেন্ডার। পেনাল্টি পায় জুভেন্টাস। স্পটকিক থেকে পানেনকা শটে বল জালে রাখেন পর্তুগিজ তারকা।
যে পানেনকা শটের সময় একসময় বিশ্ব ফুটবলে সুপরিচিত ছিলেন তার বর্তমান কোচ আন্দ্রে পিরলো। যাইহোক রোনালদোর পেনাল্টি গোলেই চার গোলের বৃত্ত সম্পূর্ণ হয় জুভেন্টাসের। এবং এই জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এল জুভেন্টাস। খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা