নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি
পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় চট্টগ্রামগামী মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে দশ লাখ টাকার ভারতীয় ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট জব্দ করেছে পুলিশের একটি বিশেষ দল। এসময় মাইক্রোবাসের চালকসহ ছয়জনকে আটক করা হয়। সোমবার দুপুরের দিকে মাটিরাঙা বাজারের ফারুক হোটেলের সামনে থেকে ভারতীয় ডেঙ্গু কীটসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মাটিরাঙা থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, মাটিরাঙার বড়নাল থেকে মাইক্রোবাসযোগে ভারতীয় ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে- এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাজারের ফারুক হোটেলের সামনে মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করা হয়।
এ সময় তিনটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ৩৯০০ পিস ভারতীয় ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট, ২৭০০টি প্লাস্টিকের বড় ড্রপার, অ্যাম্পুল ৯৮ পিস, ১৩০০টি প্লাস্টিকের ছোট ড্রপার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ডেঙ্গু পরীক্ষার কীটসহ অন্যান্য মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বলে জানান পুলিশ সুপার।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, সম্প্রতি দেশে ডেঙ্গু রোগের ভয়াবহতার সুযোগ নিয়ে একটি অসাধু মহল অধিক লাভের আশায় সরকারের অনুমোদন ছাড়াই চোরাই পথে ভারতীয় ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট নিয়ে আসছে। এসব কীটের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এসব কীট আদালতের মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে এবং ল্যাব টেস্টের পরই জানা যাবে এসব কীট আসল নাকি নকল।
তিনি বলেন, আটককৃতদের রিমান্ডে এনে এ ঘটনার সাথে আরো কারো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে।
এ ঘটনায় মাটিরাঙ্গা উপজেলার বর্ণাল ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), ডাকবাংলা মুসলিম পাড়ার মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. জাকির হোসেন (৩০), চেয়ারম্যান পাড়ার মো. সামছুর রহমানের ছেলে মো. মুহিম উদ্দিন (২৮), ডাকবাংলা আলাউদ্দিন মেম্বার পাড়ার শাহাবুদ্দিনের মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৮), ডাকবাংলা আলাউদ্দিন মেম্বার পাড়ার মো. জুলকু মিয়ার ছেলে মাইন উদ্দিন (২৮) ও পৌরসভার মিস্ত্রিপাড়ার রজব আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (২৯) কে আটক করা হয়।
মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরীফ বলেন, এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।