সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »
ব্যান্ড তারকা ও সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রয়ে গেল তার অমর সৃষ্টি। তার গান অনেকের হৃদয়ের গান। শাফিন আহমেদের নামের সঙ্গেই উচ্চারিত হয় মাইলস’ ব্যান্ডের নাম। কিছুদিন আগে পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশ হয়েছিল, তিনি আর মাইলস-এর সঙ্গে যুক্ত থাকছেন না। ২০২৩ সালের নভেম্বরে একটি সাক্ষাতকারে শাফিন আহমেদ বলেছিলেন, তার পক্ষে মাইলস ছেড়ে দেওয়া সম্ভব না। কিন্তু এরপরে মাইলসের কার্যক্রম স্থগিত রেখেছিলেন। কিন্তু কেন?
ওই সাক্ষাতকারে শাফিন আহমেদ বলেছিলেন, ‘মাইলস’ একটা ব্যান্ড। আমার হাতে গড়ে তোলা ব্যান্ড। বহু বছরের শ্রম, বহু কষ্টের ফসল হিসেবে মাইলস আজকের অবস্থানে অবস্থান করছে। আমার জায়গা থেকে মাইলস ছেড়ে দেওয়া সম্ভব না। সকলের সঙ্গে মিউজিক করা যায় না। মিউজিক একটি পবিত্র জিনিস। যেখানে মনের মিল একেবারেই নেই। সেখানে আমি থাকতে চাই না। সেখান থেকে আমি সরে থাকতে চাই। বেশ কয়েক বছর ধরে চলমান বিভক্তি, কিছু দ্বন্দ্ব; কিছু বিষয় যেগুলো সমাধান হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। চেষ্টা করে এসেছি। ২০১৭ সালে সমাধানের চেষ্টা করেছি। কোনো অগ্রগতি হয়নি। বিষয়টি সেনসেটিভ, কিছু আর্থিক, কিছু আইনগত বিষয়। এবং একে অপরের সঙ্গে ব্যবহার যেটা আসলে দুর্ব্যবহারের পর্যায়ে পৌঁছেছে। এগুলো খুলে বলা প্রায় অসম্ভব। বাকিটুকু বুঝে নিতে হবে।
তিনি আরো বলেছিলেন, মাইলস নিয়ে আমি যা যা করেছি আমার মনে হয় না এটা অন্য কেউ করেছে।আমি যখন ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসি তখন মাইলস-এর অবস্থা একেবারেই খারাপ ছিল। বাংলা গান করে ব্যান্ডটাকে যেভাবে সারা দেশে পরিচিত করে তুললাম এবং ভারতে যেভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি এটা আমার লক্ষ্য ছিল। আমার সঙ্গে সব বিষয় না মিটিয়ে মাইলস’ নামের বেনিফিট কেউ নিলে সেটা ফেয়ার হবে না।
এই শিল্পীর না থাকা মাইলস-শূন্যতা তৈরি করেছিল। এবার সেই শূন্যতা অসীম হলো। আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
‘প্রথম প্রেমের মতো, প্রথম কবিতা এসে বলে’ অথবা ‘ধিকি ধিকি আগুন জ্বলে’ মানুষ আবেগে- ভালোবাসায় এসব গান গেয়ে উঠবে; ফিরে ফিরে শাফিন আহমেদের স্মৃতি ও সুর।
উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে শাফিন আহমেদ গড়ে তোলেন ব্যান্ড দল মাইলস। ১৯৮২ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘মাইলস’ এবং ১৯৮৬ সালে ‘স্টেপ ফাদার’ দিয়ে মাইলসের নিজস্ব গান বাজারে আসে।