চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন, যা চট্টগ্রামবাসীর আকাক্সক্ষার প্রতিফলন। তিনি মহেশখালসহ মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেন।
মেয়র গতকাল সকালে নগরীর উওর হালিশহর ওয়ার্ডের মহেশখাল সংলগ্ন রাস্তা, ব্রিজ ও প্রতিরোধ দেওয়াল নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন।
তিনি চট্টগ্রাম নগরীকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ ধারণা রেখে বে-টার্মিনাল, কর্ণফুলী তলদেশ দিয়ে ট্যানেল, গভীর সমুদ্রবন্দর, আন্তঃদেশীয় মহাসড়ক ও রেল যোগাযোগের নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়ে যে কাজ শুরু করেছেন তা সম্পন্ন হয়ে গেলে নগরীর জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে চট্টগ্রাম হয়ে উঠবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক হাব।
প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে জাইকার অর্থায়নে মহেশখাল সংলগ্ন রাস্তা, ব্রিজ ও প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণকাজ ২০২২ সালের জানুয়ারির মধ্যে সমাপ্ত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে সিসি ঢালাই ব্যতিরেকে রাস্তাটির অন্য কাজগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে নির্বিঘেœ চলাচল উপযোগী করার জন্য জাইকা’র ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিপা এন্টারপ্রাইজকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছ, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, জাইকার সিনিয়র প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, মিরাজ কবিরাজ, রাজনীতিক নাজিমুল ইসলাম মজুমদার, আবেদ মনসুর চৌধুরী, খোরশেদুল ইসলাম, আশফাকুল আলম আশফাক, আকতারুজ্জামান, শহিদুল আলম সুমন প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, এতদিন বর্ষা মৌসুমের অতিবৃষ্টির কারণে অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এখন বর্ষা মৌসুম শেষের দিকে, সুতরাং আর কোন ধরনের অজুহাত দেখানোর সুযোগ থাকছে না।
তিনি অবিলম্বে সবগুলো উন্নয়নকাজ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করে নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি