নগর আওয়ামী লীগের স্মরণসভায় হানিফ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন। জনগণকে ভালবাসতেন, তাদের আশা আকাক্সক্ষার কথা জানতেন, সবচেয়ে বেশি জানতেন চট্টগ্রামের স্বার্থ অধিকার রক্ষার বিষয়। তিনি ছিলেন একজন আপাদমস্তক সৃজনশীল রাজনীতিক। মৃত্যুর পরও তিনি মহীয়ান।
গতকাল এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, আজ মহিউদ্দিন চৌধুরী নেই সত্যি কিন্তু তার স্মরণসভায় এসে অগণিত নেতাকর্মীর সান্নিধ্য পেয়ে মহিউদ্দিন ভাইকে খুঁজে পাই। তিনি বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী জাতীয় নেতা হতে পারতেন, মন্ত্রী হতে পারতেন, এমপি হতে পারতেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা মহিউদ্দিন ভাইকে ঢাকায় এসে কেন্দ্রীয় পদ-পদবি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তখন বিনয়ের সাথে বলেছিলেন- ‘চট্টগ্রাম আমার প্রেম, চট্টগ্রাম আমার ভালবাসা, এই নগরীর ধুলিকণার সাথে থেকে আমি বাকী জীবন কাটিয়ে দিতে চাই’।
তিনি নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে বলেন, যে কোন দুর্যোগ সংকটে মহিউদ্দিন চৌধুরী সাহসভরে সম্মুখে থাকতেন, আপনারাও তাঁর সে পথ অনুসরণ করবেন- এ প্রত্যাশা করি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, আমার বাবার ঋণ কোন দিন শোধ হবে না। মহানগর আওয়ামী লীগ আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে যে আয়োজন করেছে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আজ যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন সকলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসতে হলে দেশকে ভালবাসতে হবে এবং নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ পুরনো খেলায় মেতে উঠেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনীর ৭ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ভুল অভিযোগ ও তথ্যের ভিত্তিতে তাদের দেশ সফরে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা নিন্দনীয়। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত দণ্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামিরা আশ্রয় নিয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অভিযাত্রায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ৭১ ও ৭৫ এর ঘাতক চক্র এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা এসব করছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ব্যক্তি নন, প্রতিষ্ঠান। তিনি আমাদেরকে আমৃত্যু সাহস যুগিয়েছেন অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। তিনি চট্টগ্রামকে নিয়ে অনেক অনেক স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্নগুলো ধাপে ধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তাই তিনি আমাদের স্বপ্ন, আশা-আকাক্সক্ষা ও প্রেরণার উৎস।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, তিনি আমার বাবার ভাবশিষ্য ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সামনে থেকে দেখা ও জানার সুযোগ হয়েছে। রাজনীতি পাগল এই মানুষটি এক মুহূর্তের জন্য রাজনীতি হতে বিচ্যুৎ হননি। তিনি যেটি ভাবতেন বা ধারণ করতেন, সেটাই বাস্তবায়নে সচেষ্ট ছিলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও রাউজান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা আলহাজ শফর আলী, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, জালাল উদ্দিন ইকবাল, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আমিনুল হক, বখতেয়ার উদ্দিন খান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি