সুপ্রভাত ডেস্ক »
মহাসপ্তমীর লগ্ন পেরিয়ে আজ বুধবার শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমী। এদিন অকল্যাণের প্রতীক মহিষাসুর বধের চূড়ান্ত পর্যায় শুরু। মহাষ্টমীই শারদীয় দুর্গাপূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন। এর আগে, সপ্তমীতে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন উপাচার দিয়ে দেবী দুর্গার পূজা।
মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে তাতে জগজ্জননীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই কুমারী পূজা। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মা কালীর হাতে কলাসুর বধের প্রতীকী হল কুমারী পুজো। কথিত রয়েছে, কলাসুর স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করে নিয়েছিল। দেবতারা মা কালীর কাছে উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করেন। তাদের আর্তি শুনে মা কালী আবার জন্ম নেন শিশুকন্যা রূপে এবং কলাসুর বধ করেন।
তাই নারীতে ‘পরমার্থ দর্শন ও পরমার্থ অর্জন’- এ বিশ্বাস নিয়ে দুর্গোৎসবের অষ্টমী তিথিতে ‘সর্ববিদ্যাস্বরূপিনী’ কুমারী রূপে ‘দেবী দুর্গার’ বন্দনায় পূজা-অর্চণা ও আরাধনায় মেতে উঠেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
তাদের বিশ্বাস, যে ত্রিশক্তির বলে বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের চক্রে আবর্তিত হচ্ছে, সেই শক্তি বীজ আকারে কুমারীতে নিহিত। সেই বিশ্বাস থেকেই দেবী দুর্গার কুমারীরূপের আরাধনা করেন ভক্তরা।
মহাষ্টমীতে অঞ্জলি প্রদান ও ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। আজ নগরীর পাথরঘাটা শান্তেনশ্বরী মাতৃমন্দিরে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। কুমারী পূজায় কৃপা লাভের আশায় সমবেত হয়ে কুমারীকে জ্ঞানরুপিনী, হাস্যময়ী, মঙ্গলদায়িনীরুপে সকল প্রকার সৌভাগ্য ও সিদ্ধিলাভের অভিপ্রায়ে সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে।