সুপ্রভাত ডেস্ক »
মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মেয়র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী নিজেই। রাজধানীর উত্তরায় মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে দিনের বেলাতেই মশার কামড়ে তারা বিপাকে পড়েন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি লাইভ ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ওই ভিডিওতে মন্ত্রী, মেয়রসহ অন্যদের হাত দিয়ে মশা তাড়াতে দেখা গেছে। মশার জ্বালায় দু’দণ্ড বসার জো নেই। সেটাই টের পেলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এমন অবস্থায় চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হতে পারে বলে শঙ্কার কথাও জানান খোদ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
রাজধানীর উত্তরায় মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে নিজেরাই পড়লেন মশার যন্ত্রণায়। তবে অ্যারোসোল স্প্রে করে মঞ্চে উপস্থিতিদের সাময়িক স্বস্তি দেবার চেষ্টা করা হলেও তা কাজে আসেনি। তাদের বসার স্থানের পাশেই রাজউক খাল। কচুরিপানার চাইতেও সেখানে মশার দাপট বেশি।
মশা নিধনে খাল (লেক) পরিষ্কার কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজউক উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পের ২ নম্বর সেতু–সংলগ্ন এলাকায় খাল পরিষ্কার পরিদর্শনে গিয়েছিলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞাসহ ঢাকা উত্তর সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠান চলাকালীন মন্ত্রী, মেয়র, অন্য অতিথিসহ উপস্থিত সবাই মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়েছেন। রাজধানীবাসী মশার যন্ত্রণায় যে কতটা অতিষ্ঠ, তা বোঝা গেল মুহূর্তেই।
আতিকুল ইসলাম বলছেন, রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। অমীমাংসিত খালগুলোর স্থায়ী সমাধান চান তিনি।
মেয়র বলেন, ‘আমরা একটা সমাধান চাই। রাজউকের কথা মতো এটি আগে ওয়াসার খাল ছিল। এটিকে পরে চওড়া করা হয়েছে। কিন্তু এর মালিকানা আমরা এখনও পাইনি।’
পর্যায়ক্রমে সিটি কর্পোরেশনের কাছে খাল হস্তান্তর করা হবে বলে জানালেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। মঞ্চে মশার কামড়ের মাঝেই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হতে পারে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াসার অধীনে যতগুলো খাল ছিল আমি সবগুলো হস্তান্তর করে দিয়েছি। আমাদের আর বাকি যে সমস্ত খাল আছে, এ খালগুলো পর্যায়ক্রমে সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করার জন্য আমাদের সিদ্ধান্ত আছে। মশা গ্রাম-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে। এবারও ডেঙ্গুর মাত্রা বাড়তে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।’
গেল বছর দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ২৪ বছরের রেকর্ড ভাঙে। সে বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন।