নিজস্ব প্রতিবেদক »
মধ্যরাতের বৃষ্টি নগরীর গৃহহীনদের জন্য গতকাল দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। এমন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে আরো কিছুদিন।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের র্পূবাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল ভোর ৩টা নাগাদ চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়। তার মধ্যে চট্টগ্রামে ২০ মিলিমিটার, সীতাকু-ে ৫০ মিলিমিটার, সন্দ্বীপে ১০ মিলিমিটার, রাঙামাটিতে ৪ মিলিমটিার বৃষ্টিপাত হয়। এরকম বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে সামনের আরো কিছুদিন’।
২৮ ডিসেম্বর ভোর ৩টার পর নগরীসহ সীতাকু-, রাঙামাটি, সন্দ্বীপ এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়। অতর্কিত এ বৃষ্টিতে সবচে বেশি বিপাকে পড়েন গৃহহীন মানুষ। নগরীর অন্যান্য মানুষ যখন গরম কাপড়ের উষ্ণতায় গভীর ঘুমে তখন ভোগান্তি বেড়েছিলো ফুটপাতের শীতার্ত মানুষ আর গৃহহীনদের।
নগরীর সিআরবি, টাইগার পাস, নিউমার্কেট, লালখান, মুরাদপুর, কাজির দেউড়ি, অক্সিজেন মোড়, ষোলশহর, দুই নম্বর গেইট, বিমান বন্দর, বহদ্দারহাট ইত্যাদি এলাকার প্রধান সড়কগুলোর ফুটপাতগুলোতে রাত কাটান ভিক্ষুকসহ নি¤œশ্রেণী পেশার বহু গৃহহীন মানুষ।
সিআরবি এলাকায় গতকাল গিয়ে দেখা যায় দুপুরের রোদে পাতলা গামছা জড়িয়ে শুয়ে আছেন রহমত আলী। গাড়ির তীব্র হর্নের শব্দেও তার ঘুম ভাঙছেনা। পাশে থাকা তারই এক পরিচিত রহিমা খাতুন জানালেন, অক্লান্ত পরিশ্রমের পর গভীর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার একটু পরেই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। এরপর আর ঘুম হয়নি তার। সেদিনের মতো কাজের সন্ধানে বের হওয়াও হলোনা তার। শুধু রহমত আলী নন, ফুটপাতে বসবাস করা প্রায় সকলের একই হাল।
শীতকালের অতর্কিত এই বৃষ্টি ও শীত থেকে রক্ষা পেতে গৃহহীনদের জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ-পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার প্লাবন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সেরকম কিছু আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে তাই আমি কিছু জানাতে পারছিনা। আমি খোঁজ নিয়ে বিশদ জানাতে পারবো।’
পরবর্তীতে তার সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।