চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, রাজনৈতিক সংগঠন, ক্লাব ও বিভাগভিত্তিক প্রতি ব্যাচের ক্লাস প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। শনিবার রাত ৮টায় ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম অ্যাপের মাধ্যমে উক্ত মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভা পরিচালনা করেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।
এ সময় শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, শামসেন নাহার খান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোছাম্মৎ ফারজানা রহমান জুথী, শহীদ মোহাম্মদ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এম.কে. জিয়াউল হায়দার, শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, কুদরত-ই-খুদা হলের প্রভোস্ট ড. নূর মোহাম্মদ, বঙ্গবন্ধু হলের সহকারী প্রভোস্ট এটিএম শাহজাহান এবং ছাত্রকল্যাণ উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির উক্ত ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানতম কাজই হচ্ছে গবেষণা ও নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি করা। সে লক্ষ্যে চলতি বছর থেকে অনুষদ ভিত্তিক সেরা পাঁচ গবেষককে পুরষ্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা শিক্ষকদের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদেরও গবেষণামূলক কাজে সম্পৃক্ততা বাড়াতে চাই। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে শিক্ষার্থীদের পেপার প্রেজেন্টেশনের জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করা হবে। একইসাথে প্রতিটি বিভাগে সমান গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় ও ল্যাবরেটরি সুবিধা বাড়ানো হবে। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ নিরসনে আবাসন ও পরিবহন সুবিধা বাড়ানো হবে’। চুয়েট ভিসি বলেন, ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের নির্মাণকাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ। চলতি বছরই সেটা উদ্বোধন করা হবে বলে আমরা আশাবাদী। এই ইনকিউবেটর চুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য একটা দারুণ সুযোগ।’
এ সময় চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অ্যাকাডেমিক স্থবিরতা কাটিয়ে ছাত্র প্রতিনিধিগণ দ্রুত ক্লাসে ফেরার আগ্রহের প্রেক্ষিতে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে একটা নীতিমালা চূড়ান্ত করেছি। বিভাগীয় প্রধানদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে এসব নিয়ে আলোচনা করে শীঘ্রই অনলাইনে ক্লাস শুরু করা হবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে চুয়েটকে একটি আরো মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের মতামত, পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর