সুপ্রভাত ডেস্ক »
বাংলা নববর্ষের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তন করে রাখা হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গল’ শব্দটা নিয়ে অনেক আপত্তি ছিল। এই শব্দ দিয়ে ফ্যাসিবাদের চর্চা হয়েছে। তাই আমরা অতীতে ফিরে গেছি। প্রথম যে নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা, সেটাই রাখা হয়েছে। শোভাযাত্রার এবারের প্রতিপাদ্য– নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান।
শোভাযাত্রায় থাকবে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিসহ ছোট-বড় বিভিন্ন মোটিফ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বহর থাকবে শোভাযাত্রার দুপাশে, সামনে নয়। নববর্ষের দিন বিকেল ৫টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
নববর্ষের সকালে রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে সুরের ধারা। বাঙালি, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, খিয়াং, খুমি, সাঁওতাল, বম, লুসাইসহ মোট ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে বর্ষবরণের শোভাযাত্রায়। প্রথমবারের মতো রক মিউজিয়ানদের সংগঠন বামবা এতে অংশ নেবে। ২০ নারী ফুটবলারসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ থাকবে এতে।
বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে হবে নববর্ষের অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা সাতটায় সেখানে চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় হবে ড্রোন শো।
অন্যদিকে, রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চারুকলার বকুলতলায় থাকবে চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান।