চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মনোবল ও মানসিক শক্তিই প্রধান ভরসা। ভয় ও আতংক জয় করে চসিকের জনবল দিয়ে যুদ্ধের ময়দানে আছি।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ২৫০ শয্যার কোভিড আইসোলেশন সেন্টার থেকে কোন রোগী বিনা চিকিৎসায় ফিরে যাবেন না।
এমনকি নন কোভিড রোগীরাও। এই চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়োজিত সকল ডাক্তার,নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিশ্ছিদ্র স্বাস্থ্য সুরড়্গা সরঞ্জাম পাবেন। যারা এখানে সেবা দিচ্ছেন তারা প্রত্যেকেই সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী সকল সুযোগ-সুবিধা এবং তাদের কোন ড়্গয়-ড়্গতি হলে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ও আর্থিক সহায়তা পাবেন।
কোন শর্ত দিয়ে মানব ও সমাজ সেবা করা যায় না। যারা অস্থায়ী তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থায়ী করণসহ পরিসি’তি বিবেচনায় যখন যা কিছু করার প্রয়োজন তাই করা হবে বলে মেয়র প্রতিশ্রুতি দেন। শুক্রবার সকালে সিটি কনভেনশন হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে জুমাপূর্ব মিলাদ মাহফিলে উপসি’ত চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২১ জুন থেকে এই আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু হবে। সেবা দানের ক্ষেত্রে এমন কোন কথা বলা যাবে না যাতে সাধারণ মানুষের মনে হতাশা ও আতংক বাড়াতে পারে।
মৌলানা হারুনুর রশিদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নামজুম হক ডিউক, মো. এরশাদ উলস্নাহ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, উপ-পরিচালক ডা. মুজিবুল আলম চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সহকারি রায়হান ইউসুফ, বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশিদ, আনিসুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস’ লিংকরোডের পিসি রোড সংলগ্ন এলাকায় অতিবর্ষণের ফলে জলাবদ্ধতা নিন্মাঞ্চল পরিদর্শন করেন। এসময় মেয়র স্থানীয়দের সাথে মতবিািনময় করেন। মেয়র দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য সংশিস্নষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের নির্দেশনা দেন। বিজ্ঞপ্তি