সুপ্রভাত ডেস্ক »
আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার বডিওয়ার ক্যামেরা সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলরা তাদের বুকে এই ক্যামেরাগুলো পরবেন।
রোববার সকালে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব উপস্থিত ছিলেন।
ফয়েজ তৈয়্যব আহমদ বলেন, ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই ডিভাইসগুলো হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করবে।
তিনি বলেন, “আমরা অক্টোবরের মধ্যে বডিক্যামগুলো সংগ্রহ করতে চাই যেন পুলিশ বাহিনী এ সকল বডিক্যামের এআই সক্ষমতাসহ মূল বৈশিষ্ট্যগুলির ওপর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পেতে পারেন।
ক্যামেরা সরবরাহের জন্য জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কর্মকর্তাদের দ্রুত বডিক্যামগুলো কেনার আহ্বান জানিয়ে হাজার হাজার পুলিশ সদস্যের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই সমস্ত ভোটকেন্দ্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, খরচ যাই হোক না কেন। আমাদের লক্ষ্য হলো ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করা।”
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি নির্বাচনী অ্যাপ চালুর পরিকল্পনার কথাও জানান।
অ্যাপটিতে প্রার্থী সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য, ভোট কেন্দ্রের হালনাগাদ খবর এবং অভিযোগ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টা অ্যাপটি দ্রুত চালুর এবং দেশের ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জন্য এটিকে ব্যবহার বান্ধব কিনা তা নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।