নিজস্ব প্রতিবদক :
ঈদুল ফিতরের অন্যতম আকর্ষণ হলো নতুন জামা পরে ঈদগাহ মাঠে গিয়ে ঈদের জামাত আদায় করা। জামাত শেষে মুসল্লিদের একে অপরের সাথে হাসিমুখে কোলাকুলি। এরপর বাসায় আতিথিয়তা ও বিনোদন কেন্দ্রে ঘোরাঘুরি। কিন্তু এবার মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে পবিত্র ঈদুল ফিতরে এমন উৎসবের আবেশ দেখা যায়নি!
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিমরা আজ সোমবার ভারাক্রান্ত হৃদয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।
নগরীর কোথাও খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়নি ঈদ জামাত। মসজিদের ভেতরে দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এবার নগরীর প্রায় প্রত্যেক মসজিদে দুই থেকে তিনটি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
সকাল ৮টায় জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব ছৈয়্যদ মাওলানা আবু তালেব মো. আলাউদ্দীন আলকাদেরী।
নামাজ শেষে মুনাজাতে দেশ ও মুসলিম উম্মাহ’র সমৃদ্ধি কামনার পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়।
ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ এলাকায় নেওয়া হয় নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজাই রেখে, লাইন ধরে, তল্লাশির পর সবাইকে মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেওয়া হয়।
প্রতিবছর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করতে লাখ লাখ মুসল্লির সমাগম হলেও এবার সমাগম তেমন হয়নি।
জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল পৌনে ৯টায়। এতে ইমামতি করেন মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. আহমেদুল হক।
নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল পৌনে ৮টায়। এতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা আনোয়ার হোসেন তাহেরী জাবেরী।
সকাল পৌনে ৯টায় এই মসজিদে ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে পেশ ইমাম মাওলানা নুর মো. সিদ্দিকী ইমামতি করেন।
এছাড়া নগর ও জেলার বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সামাজিক দূরত্ব রক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করেন তারা।
এ মুহূর্তের সংবাদ