সুপ্রভাত ডেস্ক »
সূর্যের আলো অর্থাৎ রোদ ভিটামিন ডি’র অন্যতম প্রধান উৎস। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি বি (ইউভি বি) থেকে শরীরের ত্বক ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে। ডিমের কুসুম, সামুদ্রিক মাছ, গরু বা খাশির কলিজা, দুধ, দই, মাখন, বাদাম, কমলা ইত্যাদি খাবার থেকেও ভিটামিন ডি কিছু মাত্রায় পাওয়া যায়।
তবে শরীরে স্বাভাবিক নিয়মে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সূর্যের আলো প্রয়োজন। কিন্তু রোদে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকের ক্ষতি হবে ভেবে অনেকেই বাইরে বেরোতে চান না। আবার অনেকেই ভিটামিন ডি তৈরি হবে ভেবে, একটানা রোদে গিয়ে বসে থাকেন। কিন্তু ‘ভিটামিন ডি’ এর জন্য সবচেয়ে উত্তম পন্থা কোনটি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাভাবিকভাবে ভিটামিন ডি তৈরি হতে প্রায় ১০ মিনিট সময় লাগে। খুব বেশি হলে আধা ঘণ্টা। তবে প্রতিদিন গায়ে রোদ মাখারও প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে দু-তিন দিন ১০ মিনিট করে রোদে বসাই যথেষ্ট।
বেশিক্ষণ রোদে বসলেই যে ত্বক সূর্যালোক শোষণ করতে পারবে, এমনটা নয়। তা অনেকটাই নির্ভর করে ওই ব্যক্তির গায়ের রং, বয়স এবং ভৌগোলিক অবস্থানের উপর। গায়ের রং চাপা হলে রোদ শোষণ করার ক্ষমতা কম। অর্থাৎ, তাদের অন্তত পক্ষে আধা ঘণ্টা রোদে বসতে হবে। যারা তুলনায় ফর্সা তাদের ১৫ মিনিটের বেশি রোদে থাকার প্রয়োজন পড়ে না।
দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত যে কোনো সময় গায়ে একটু রোদ লাগালেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি তৈরি হয়ে যায়। তবে, এই সময় যেহেতু রোদের তেজ বেশি থাকে তাই বেশি ক্ষণ রোদে থাকার প্রয়োজন নেই। এ ছাড়াও ত্বকে সরাসরি রোদ না লাগিয়ে হালকা বা সাদা রঙের পোশাক পরে রোদে থাকলে ত্বকের ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো যায়।
শুধু হাড় কিংবা দাঁত মজবুত রাখাই নয়, শারীরবৃত্তীয় এমন অনেক কাজই রয়েছে যেগুলো ভিটামিন ডি ছাড়া হয় না। তাছাড়া শরীরে নানা রকম প্রোটিন এবং উৎসেচক তৈরি করতেও সাহায্য করে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিনের অভাবে চুল ঝরে যেতে পারে, বেড়ে যেতে পারে ওজনও। তবে ত্বকের চিকিৎসকরা।