সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক
ঢালিউডের ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। তিনি চাইলে প্রতিদিনই শুটিং করতে। উপার্জন করতে পারেন কাড়ি কাড়ি টাকা। কিন্তু তা করছেন না। নিজের সিদ্ধান্তে এই তারকা অটল। বললেন, ভালো স্ক্রিপ্ট ছাড়া কাজ করছি না। এর সুবিধা হচ্ছে দর্শক জানবেন, আমি যে কাজটা করবো সেটা অবশ্যই ভালো কাজ।
অ্যাভারেজ কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অভিনয় কম করি বলে এই পরিবেশন, শুটিং সবকিছু মিস করি। তবুও আমি সিদ্ধান্তে অটল ভালো কাজ ছাড়া করছি না। আন্তঃনগর ওয়েব ফিল্ম করলাম এটা সমসাময়িক ও আমাদের আশেপাশের গল্পের কাজ। যেখানে আমি মৌসুমি নামে পার্লার কর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছি।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে শবনম ফারিয়া অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘আন্তঃনগর’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে ৮জুন। গৌতম কৈরি পরিচালিত এই কনটেন্টটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল। অন্যান্য চরিত্রে আরও আছেন রুনা খান, শ্যামল মাওলাসহ অনেকে। ফারিয়া জানান, এটি স্ট্রাগলের গল্প।
এর আগে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুন্সিগিরিসহ আরও একটি কনটেন্টে কাজ করেছেন ফারিয়া। তিনি বলেন, নাটকের চেয়ে ওটিটিতে বাজেটসহ সবকিছু বেশি থাকে। তাই চাইলেই ফ্লেক্সিবল হয়ে কাজ করা যায়। কিন্তু নাটক ড্রয়িং রুম কালচার বলে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে। তবে ওটিটি কিন্তু তা নয়।
নির্মাতাও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। নাটকে এটা কম দেখা যায়। এখন সময়টা গ্লোবাল। নেটফিক্সে যা আছে সেটা আমাদের দর্শকরা দেখছেন, পাশাপাশি আমাদের দেশের ওটিটিতে যা আছে তাও বিশ্ববাসী দেখতে পাচ্ছেন। এ কারণে কাজের মান ভালো করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আমরা যতই বলি না কেন এই পরিস্থিতি ওই পরিস্থিতি ফেইস করে কাজ করছি, কিন্তু যিনি দেখছেন তিনি বুঝবেন না। কারণ তিনি নেটফ্লিক্স দেখে দেখে অভ্যস্ত।
শবনম ফারিয়া মনে করেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম মূলত আশির্বাদ। তিনি বলেন, এর ফলে অনেক আন্তর্জাতিক মানের গল্প বের হয়ে আসছে। আগে এসব ফিল্মে দেখা যেত। যদিও ফিল্মে আরও বেশি বাজেট থাকে। এখন ওটিটি আসায় ভিন্ন ভিন্ন গল্প দেখা যাচ্ছে। আমরাও নতুন চরিত্র পাচ্ছি। দর্শকরাও খুশি।
এতে কাজের প্রতিযোগিতা বেড়েছে? শবনম ফারিয়া বলেন, আমাদের দেশে এখনও অডিশন দিয়ে আর্টিস্ট চূড়ান্ত হবে এমন কালচার পুরোপুরি চালু হয়নি। যেই আর্টিস্টকে পছন্দ তাকে নিয়ে কাজ করা হয়। আর্টিস্টরাও যেই পরিচালকদের সঙ্গে কমফোর্ট ফিল করেন, তাদের সঙ্গে কাজ করেন।
তিনি বলেন, কিন্তু পাশের দেশে কিন্তু অডিশন ছাড়া কাজ হয় না। আমাদের দেশে যদি ওই সিস্টেম চালু হতো তাহলে কাজের প্রতিযোগিতা আরও বাড়তো। আশা করি ভবিষ্যতে এই সিস্টেম চালু হবে।