সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »
শুরুতে বাংলাদেশকে চেপে ধরেছিল ভারতীয় যুবারা। তবে জমাট রক্ষণে নিজেদের দুর্গ আগলে রেখে ধারার বিপরীতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সে লিড রাখতে না পারলে শেষ পর্যন্ত টাই-ব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি। সেখানে বদলি গোলরক্ষক আসিফ হোসেনের নৈপুণ্যে ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।
সোমবার নেপালের ললিতপুরের আনফা কমপ্লেক্সে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে টাইব্রেকারে ভারতকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়েছিল।
টাইব্রেকারে প্রথমেই ভারতের থাংলালসনের শট রুখে দেন আসিফ। আকাশ তিরকের নেওয়া পঞ্চম শটও আটকে জয় নিশ্চিত করেন এই গোলরক্ষক। অন্যদিকে নিজেদের চারটি শটই জাল খুঁজে পেলে জয় পায় বাংলাদেশ।
এর আগে ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। রাব্বি হোসেন রাহুলের ক্রস ভারত গোলরক্ষক প্রিয়াংস দুবের গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় আসাদুল মোল্লার কাছে। দারুন এক ভলিতে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি তার।
সমতায় ফিরতে আক্রমণের ধার আরো বাড়ায় ভারত। ৭৫তম মিনিটে সাফল্যও পেয়ে যায় দলটি। রিকি মিতির ডান পায়ের গড়ানো শট জলে জড়ালে সমতায় ফেরে তারা। শেষদিকে গোলকিপার শ্রাবন লালকার্ড দেখেল মাঠে নামেন আসিফ। তিনিই গড়ে দেন ম্যাচের পার্থক্য।
২৮ আগস্ট নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল।
ম্যাচশেষে বাংলাদেশ কোচ মারুফুল হক উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলবো, চ্যাম্পিয়ন হবো। যদিও গ্রুপ পর্বে নেপালের কাছে হেরেছি। এরপর খেলোয়াড়দের নানানভাবে উজ্জীবিত করেছি। তাদের ইচ্ছা ছিল ভালো কিছু করার। সেটা আজ তারা করতে পেরেছে। আমি খুশি। এছাড়া আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি আমাদের প্রজন্ম ভারতের বিপক্ষে জিততে চায়। এখন জেতায় তারা নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে।’
২৮ আগস্ট নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল। বাংলাদেশ কোচ ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে বলেছেন, ‘নেপাল ভালো দল। তাদের মেধাবী খেলোয়াড়ও আছে। আশা করি ভালো ম্যাচ হবে। এখন আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলবো। নেপালের মাঠ সবসময় বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত। এখন দেখা যাক কী হয়…’
এদিকে, ম্যাচের মাঝে গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ চোট পেয়ে বাইরে চলে গেলেও তার অবস্থা গুরুতর নয় বলে জানানো হয়েছে।