স্পট : জামালখান-আবেদিন কলোনি
নিজস্ব প্রতিবেদক
জামালখান খালের জায়গায় উভয় পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা আবারও ভাঙা শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খালটির জামালখান এবং আবেদিন কলোনি এলাকার একাধিক ভবনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) তাহমিনা আফরোজ চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সিডিএ সূত্রে জানা যায়, খালের জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়ার পর জামালখান এলাকার ইক্যুইটি ভবন (১২তলা), দত্ত বিল্ডিং (৭তলা) এবং কাচ্ছি ডাইন বিল্ডিংয়ের মালিক পক্ষ নিজেদের উদ্যোগে ভাঙার কাজ শুরু করেছে।
গত বৃহস্পতিবার জামালখানের শাহ্জাহান বিল্ডিংয়ের সীমানা চিহ্নিত করে দেওয়ার পর তারা নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার আবেদিন কলোনিতে অভিযান চালানোর সময় ভবন মালিক চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তাদের ভবনে খালের জায়গা নাই। পরে যৌথ জরিপের মাধ্যমে দেখা যায় আবেদিন কলোনিতে ৭ ফুট খালের জায়গা রয়েছে। গতকাল অভিযানে সে জায়গাও উচ্ছেদ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, জামালখান এবং আবেদিন কলোনিতে খালের পাশের ভবনগুলোতে লাল রঙ দিয়ে ইংরেজি অক্ষরে ‘বিএস’ চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। জামালখান এলাকায় শাহজাহান বিল্ডিংয়ে সেই চিহ্নিত অংশটুকু ভেঙে জায়গা খালি করা হয়েছে। কাচ্ছি ডাইন ভবনের চিহ্নিত অংশ ভাঙার প্রস্তুতি চলছে।
শাহজাহান বিল্ডিংয়ের মালিকের ছেলে সুশান বলেন, বৃহস্পতিবার মার্ক করার পর আমরা নিজ উদ্যোগে চিহ্নিত অংশ ভেঙে ফেলেছি।
জামালখান কাচ্ছি ডাইন ভবনের ম্যানেজার নুরুল আলম বাদশা জানান, গতরাতে আমাদের ভবনের মালিক স্পেন থেকে আসার পর চিহ্নিত অংশ ভাঙতে লোক নিয়োগ করা হয়েছে। ভবনের যে অংশটুকু ভাঙা হবে, সেই-অংশ থেকে এসিসহ সব ধরনের জিনিসপত্র খুলে নেওয়া হয়েছে। আপাতত দোকান বন্ধ রয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার পর পুনরায় খোলা হবে।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী আহম্মদ মঈনুদ্দিন জানান, লাভলেন স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টারের পাশ থেকে জামালখান এবং সিরাজউদ্দৌলা রোড হয়ে চাক্তাই খালে যুক্ত হওয়া দুই কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্য জামালখান খাল। সেখানে খালের জায়গা দখল করে ভবন মালিকরা স্থাপনা নির্মাণ করেছে। খাল দখল করে গড়ে তোলা স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
চউকের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে। আজ (গতকাল) জামালখান এবং আবেদিন কলোনিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জামালখানে ৪টি ভবন মালিক পক্ষের উদ্যোগে ভাঙা হচ্ছে। আবেদিন কলোনিতে অভিযান চালানোর সময় ভবন মালিক চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, পরে ৭ ফুট খালের জায়গা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। আজ (রোববার) আবেদিন কলোনির অবৈধ অংশ ভাঙা শুরু করলে তারা আমাদের লিখিত দেয়;নিজ উদ্যোগে তা ভেঙে ফেলবে। তাদের এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।