সুপ্রভাত ডেস্ক
২১ অক্টোবর মুক্তি পেতে যাচ্ছে হলিউডের বহুল আলোচিত সিনেমা ‘ব্ল্যাক অ্যাডাম’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি একই দিনে ছবিটি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা চলছে এই ছবি নিয়ে। দর্শকদের চাহিদার কারণে এরই মধ্যে ছবির অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে স্টার সিনেপ্লেক্স। অনলাইনে এবং হল কাউন্টারে টিকেট পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
‘ব্ল্যাক অ্যাডাম’ হলো ওয়ার্নার ব্রাদার্স এবং নিউ লাইন সিনেমার চলচ্চিত্র ‘শাজাম’-এর স্পিন-অফ। চরিত্রটি প্রথম ১৯৪০-এর দশকে ডিসি কমিক্সে একজন ভিলেন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। কয়েক বছর পর ২০০০ সালে এটি অ্যান্টি-হিরো হিসেবে আবির্ভূত হয়। মিসরীয় দেবতাদের ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী ব্ল্যাক অ্যাডাম। প্রায় পাঁচ হাজার বছর পর পার্থিব সমাধি থেকে মুক্ত হয়েই আবারো কারাবন্দি হন তিনি। শুরু হয় আধুনিক বিশ্বে ন্যায়বিচার আর প্রতিশোধের এক রোমাঞ্চকর লড়াই। এমনই এক গল্প নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ডিসি কমিকসের জনপ্রিয় অ্যান্টিহিরো ‘ব্ল্যাক অ্যাডাম’ চলচ্চিত্রটি। প্রথম ট্রেইলার প্রকাশের পর থেকেই ছবিটি নিয়ে আলোচনার পারদ উপরে উঠতে শুরু করেছে।
এ ছবির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এতে ব্ল্যাক অ্যাডাম চরিত্রে আবির্ভূত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ‘দ্য রক’ খ্যাত ডোয়েইন জনসন। প্রথমবারের মতো ডিসি কমিকসের কোনো ছবিতে দেখা যাবে তাকে। এ ছাড়াও ছবিটির আরো একটি বড় চমক এতে দেখা যাবে সাবেক জেমস বন্ড তারকা পিয়ার্স ব্রসনানকে। ডিসি কমিকসের সুপারহিরো সিরিজের শাজামের প্রধান ভিলেন বলা হয়ে থাকে ব্ল্যাক অ্যাডামকে। যদিও ভিলেন নয়, অ্যান্টিহিরো হিসেবেই বেশি পরিচিত চরিত্রটি। তবে ছবিটিতে জনপ্রিয় এ চরিত্রকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন পরিচালক জাউমি কোলেট।
এদিকে, সিনেমাটিতে আরেকজন সুপারহিরোকে দেখা যেতে পারে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি নিউইয়র্কে ছবির প্রিমিয়ারের আগে এমনটাই আভাস দিয়েছেন মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা ডোয়াইন জনসন।
সিএনএন লিখেছে, অভিনেতা হেনরি ক্যাভিলকে সুপারম্যানের ভূমিকায় ‘ব্ল্যাক অ্যাডাম’ এ দেখা যাবে বলে যে গুঞ্জণ চলছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল ডোয়াইন জনসনকে।
এন্টারটেইনমেন্ট টুনাইটকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে জনসন বলেন, ‘ব্ল্যাক অ্যাডামের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হলো পুরো ডিসি ইউনিভার্সকে গড়ে তোলা, কেবল ব্ল্যাক অ্যাডামকে নয়, দর্শকদের সামনে পুরো জেএসএকে (জাস্টিস সোসাইটি অব আমেরিকা) তুলে ধরা। যেমনটা আমি সব সময় বলে এসেছি, আমাদের প্রযোজনার মূল নীতি হলো দর্শকদের পছন্দকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।
জনসন আরো বলেন, বছরের পর বছর ধরে ব্ল্যাক অ্যাডামকে নিয়ে দর্শকদের এত উচ্ছ্বাসের কারণ হলো- এ গ্রহের সবচেয়ে শক্তিশালী ও অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসেবে ‘ব্ল্যাক অ্যাডামকে’ তুলে ধরা হয়েছে। ভক্তরা এখন অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছে- বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সেই অপ্রতিরোধ্য শক্তি কোথায়? আমরা সবাই কাঙ্ক্ষিত সেই মুহূর্তটি দেখার অপেক্ষায় আছি।