নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া »
পটিয়া আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষা কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন স্ত্রী মরিয়ম। তার স্কার্ফের ভেতরে কানে লাগানো রয়েছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস। সেই ডিভাইসের মাধ্যমে স্ত্রী প্রশ্ন বলছিলেন, আর পরীক্ষার হলের বাইরে থেকে উত্তর বলে দিচ্ছিলেন স্বামী। কিন্তু হলের ভেতরের গুনগুন শব্দ শুনে কক্ষ পরিদর্শকের সন্দেহ হলে ধরা পড়ে মরিয়ম। গতকাল এসএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস দিয়ে বাইরের সাথে সংযোগ করে ওই পরীক্ষার্থী ‘নকল’ করে খাতায় লিখছিল। ওই কক্ষে আরো ৪০ জন পরীক্ষার্থী ছিল। হল রুমের অন্য পরীক্ষার্থীরা নীরবে পরীক্ষার খাতায় উত্তর লিখলেও বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থী ব্লুটুথ ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের উত্তর অন্য প্রান্ত থেকে শুনে তা খাতায় লিখছিল। এসময় গুনগুন শব্দ শুনে কক্ষ পরিদর্শক সুচরিতা দত্তের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে সে স্বীকার করেছে ব্লুটুথের মাধ্যমে তার স্বামীর সাথে অপরপ্রান্ত থেকে উত্তরপত্র খাতায় লিখছিল।
পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট পরই ওই ছাত্রীকে কথা বলতে দেখে কর্তব্যরত পরিদর্শক তাকে জিজ্ঞাসা করে। ওই সময় তার কানের সাথে লাগানো ব্লুটুথ স্পিকার দেখতে পান। যা দিয়ে সে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে থেকে সাহায্য নিয়ে উত্তর লিখছিল। পরে ওই ছাত্রী স্বীকার করে তার স্বামী তাকে সাহায্য করছিল।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীরা কথা বলে থাকে। কিন্তু কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক যে ব্লুটুথ ডিভাইস শনাক্ত করতে পেরেছে এতে অবশ্যই তিনি কৃতিত্বের দাবিদার।
প্রসঙ্গত, এসএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিনে ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় বোর্ডের একমাত্র বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী মরিয়ম। এর আগে পরীক্ষার প্রথম দিন সাধারণ মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের দায়ে চট্টগ্রাম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে দুই জন বহিষ্কার হয়।