সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
প্রথম ইনিংসে নেমেই চার উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে ছাড়িয়ে গেলেন এটিকেও। এবার ফাইফার। প্রায় ১ যুগ পর কাউন্টি খেলতে নেমে সাকিব আল হাসান বল হাতে দেখাচ্ছিলেন ঘূর্ণিজাদু। বোলিংয়ে সাফল্যর পর ব্যাটিংয়ে প্রত্যাশা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। কিন্তু সারের হয়ে ব্যাট হাতে সাকিব বোলিংয়ের উল্টোটাই করেছেন।
প্রথম ইনিংসে রানে খাতা খুলে এগোচ্ছিলেন। দুই অঙ্কের ঘর পেরিয়ে যখন মাত্র ২ রান যোগ করলেন তখনি বোলার লিচের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ২৪ বলে আসে ১২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে খুলতে পারেননি রানের খাতাই। ৫ বলে শূন্য! ভনের অফব্রেকে পরাস্ত হন তিনি।
বোলিংয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৯৭ রান দিয়ে চার ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৬ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। বোলিংয়ে সাকিব ধারাবাহিক পারফর্ম করলেও ব্যাটিংয়ে সেটি নেই। কাউন্টিতে নামার আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সুবিধা করতে পারেননি।
দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে জয়সূচক রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ঐতিহাসিক এই সিরিজে এটিই সর্বোচ্চ। এর আগে দুই ইনিংসে করেন ২ ও ১৫ রান। আরেক ইনিংসে নামতে হয়নি।
চলতি বছর সাকিব ৩ টেস্টে ৫ ইনিংসে করেছেন মাত্র ৮৯ রান। এ বছর কোনো ওয়ানডে খেলেননি এখন পর্যন্ত। গত বছর ২৩ ওয়ানডেতে ৩৫ গড়ে ৭৩৫ রান করেছেন। টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংয়েও নিজের নামের পাশে সুবিচার করতে পারেননি। ১২ ম্যাচে মাত্র ১৬৯ রান! গড় ১৬.৯০।
পাকিস্তান সিরিজ শেষে বাংলাদেশের নতুন মিশন ভারত সিরিজ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে সাকিবকে। বোলার সাকিবের মতো ব্যাটার সাকিবের সার্ভিসও বাংলাদেশের প্রয়োজন। কিন্তু বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে ছন্দ দেখাতে পারছেন না। যা নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা।