সুপ্রভাত ডেস্ক »
প্রত্যেকটি দুর্বল ব্যাংকের কোনো না কোনো ভালো একটি দিক রয়েছে। কোনটির আছে অনেক গ্রাহক এবং কোনটির অনেক আমানত রয়েছে। এগুলোর একটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দুর্বল ব্যাংক আর দুর্বল থাকবে না বলে জানিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খবর অর্থসূচক।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি বলেন, দুর্বল ব্যাংককে তুলনামূলক ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক ভাবে দেখছেন ব্র্যাক ব্যাক। দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করার পেছনে ভালো-মন্দ নির্ভর করবে একীভূত হওয়ার সময় ভালো ব্যাংকটির ম্যানেজমেন্টের লক্ষ্যের ওপর। কারণ প্রত্যেকটি দুর্বল ব্যাংকের কোনো না কোনো ভালো একটি দিক রয়েছে। কোনটির আছে অনেক গ্রাহক, কোনটির অনেক আমানত, কোনটির বিস্তৃত শাখা-সম্পদ, কোনটির নিজস্ব অবকাঠামো, কোনটির রিকভারি হওয়ার মতো ঋণ, কোনটা আবার জনবল। এগুলোর একটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দুর্বল ব্যাংক আর দুর্বল থাকবে না।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ একীভূত সফলকাম হয় না, কিছু কিছু হয়। এটা নির্ভর করছে কারা একীভূত করছে, তাদের লোকবল কেমন আছে বা কেমন দক্ষতা আছে। ব্র্যাক ব্যাংক কি করবে না করবে এখনো আমরা বলতে পারছি না। কোনো দিকে তাকিয়ে আছি তা এখনো বলার মতো হয়নি। তবে এটাও মনে করি, ব্র্যাক ব্যাংকের যে লোকবল আছে, যে সেটাপ আছে বা স্কিল আছে আমরা অনেক কিছু করতে পারব।’
সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, কথা উঠতে পারে অনেকগুলো ব্যাংকের অবস্থা খুবই খারাপ। সে ক্ষেত্রে একীভূত হওয়ার আগে নিরপেক্ষ এবং সঠিক পক্ষ দ্বারা মূল্যায়িত করার পরই একীভূত হবে। এমন নয় যে, কোনো ভালো ব্যাংক ১০০ টাকার মাল ৫০০ টাকা দিয়ে কিনছে; বিষয়টি এমন হবে না। ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা কী, তার সঠিকভাবে আর্থিক অবস্থা নির্ণয়ের পরই একীভূত হবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, মার্কেটে চাহিদা কমে গেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ নির্বাহ করে ডিমান্ডের ওপর। গত কয়েক মাসে আমরা ভালো রেমিট্যান্স এনেছি। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি।
আমরা চেষ্টা করছি আমাদের গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করার জন্য। কিন্তু এখন চাহিদা কমে আসছে। ডলার মার্কেটেও চাহিদা কমে গেছে।