সুপ্রভাত ডেস্ক :
র্যাব কর্মকর্তা জানান, নৌকার যে মাঝি মো. শাহেদকে নদী পার হতে সহযোগিতা করছিল, সে পালিয়ে গেছে।
“সে মাঝি আসলে খুব ভালো সাঁতার জানে। উপস্থিতি টের পেয়ে সে সাঁতরিয়ে চলে গেছে। সে (শাহেদ) মোটা মানুষ সেজন্য হয়তো সে পালাতে পারে নাই। সেজন্যই সে (শাহেদ) ধরা পড়েছে। ”
টেস্ট না করেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে গত ৭ই জুলাই সিলগালা করে দেয়া হয়েছে ঢাকার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়।
তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. শাহেদ পলাতক ছিলেন।
তখন থেকেই র্যাব বলে আসছিল যে মো. শাহেদ যাতে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ভারত যেতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
রিজেন্ট হাসপাতাল ও গ্রুপের মালিক ও এমডি সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রতারণার মামলায় এর আগে আরো ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল যে মো. শাহেদের পৈত্রিক বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। র্যাব জানিয়েছে আজ তাকে হেলিকপ্টরে করে ঢাকায় এনে আদালতে তোলা হবে। খবর বিবিসি বাংলার
রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণার মামলায় এর আগে আরো ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। সর্বশেষ আটক করা হয় প্রতিষ্ঠানটির এমডি মাসুদ পারভেজকে। রিজেন্ট হাসপাতাল ও গ্রুপের মালিক ও এমডি সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে
টেস্ট না করেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে গত ৭ জুলাই সিলগালা করে দেয়া হয়েছে ঢাকার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়। এরপর ফেসবুকে অনেকে মো: শাহেদের বহু ছবি শেয়ার করেছে যেখানে তাকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে দেখা গেছে।
র্যাব-এর তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাস টেস্ট করারা জন্য রিজেন্ট হাসপাতাল প্রায় ১০ হাজার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করেছে। কিন্তু সেগুলো পরীক্ষা না করেই রোগীদের ভুয়া ফলাফল দেয়া হয়েছে। র্যাব জানিয়েছে, ৪৫০০ ভুয়া টেস্টের কাগজপত্র তাদের হাতে এসেছে। র্যাব বলছে, টেস্টের ভুয়া ফলাফল তৈরি করা হয়েছে রিজেন্ট হাসপাতালের কম্পিউটার সিস্টেমে। প্রতিষ্ঠানটির কম্পিউটার অপারেটরদের দ্বারা ভুয়া ফলাফল তৈরি করতে বাধ্য করেছে হাসপাতালটির চেয়ারম্যান।