সুপ্রভাত ডেস্ক:
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে সহায়তারজন্য ট্রেড ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম (টিএফপি) সম্প্রসারণের লক্ষ্যেগত বছরের শেষ নাগাদ তাদেরঅর্থায়নের সীমা বৃদ্ধি করে ৫১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৭৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছে।
এডিবি আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বেসরকারি খাতের পুঁজি আহরণ এবং গ্যারান্টি ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে বাজারের ঘাটতি পূরণের জন্য টিএফপি বাংলাদেশে ১২টি অংশীদার ব্যাংকের সাথে কাজ করছে।
এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘অর্থনীতির উপর কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব বিশেষত বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে ঋণের প্রাপ্যতাবিবেচনায়, টিএফপি’র এই ঋণ বাংলাদেশে তারল্য বৃদ্ধি করবে, ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে, আমদানী ও রপ্তানী বাড়বে, চাকরি বাড়বে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে অবদান রাখবে।’
বাংলাদেশটিএফপি বাস্তবায়নে অন্যতম সক্রিয় দেশ বলে উল্লেখ করে মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘এই কর্মসূচিএখন পর্যন্ত বাণিজ্যখাতে ৮১৪.৬ মিলিয়ন মার্কিনডলার সহায়তা দিয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরপর্যন্ত বেসরকারি খাতে৭০.৭% যৌথ-অর্থায়ন করা হয়েছে এবং ১ হাজার ৩৬৭টি লেনদেন হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাধারণত ১৮০ দিনের মধ্যেই বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু ও শেষ হয়ে যায় বলে ৭৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরসহায়তার মাধ্যমে বছরে বাংলাদেশে১শ কোটি মার্কিন ডলারের অধিক লেনদেনের সুযোগ হবে।’
এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর আরো বলেন, বাংলাদেশে টিএফপি’র একটি বড় অংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসা (এসএমই) খাতে সহায়তা প্রদান করে এবং সক্রিয় এই কর্মসূচির বর্ধিত কার্যক্রম নারীসহ ব্যবসায়ীদেরকে আরো বাড়তি সহায়তা দিবে।
টিএফপি এশিয়ার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বাজারগুলোতে আমদানী ও রপ্তানীতে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রয়োজনে কোম্পানীগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ২১টি দেশে ২৪০টির বেশী ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করে।