নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সমাবেশে আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সকালে আমেরিকানদের গালি দেয়, বিকেলে ফুলের তোড়া নিয়ে হাজির হয়। আবার যখন তার পরের দিন তারা বুঝে যায়, আমেরিকানরা তাদের ভোট চুরির বিরোধী। আবার তারা তাদের গালি দেয়।
তিনি গতকাল শুক্রবার বিকালে কাজীর দেউড়ির নুর আহম্মেদ সড়কে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
আমীর খসরু বলেন, এই সরকার জনগণের কাছে পরাজিত হয়ে বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা করছে। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, জোবাইদা রহমান ও জাইমা রহমান এদের পথ রুখে দাঁড়াবার কোনো শক্তি বাংলাদেশে কারও নেই।
আমীর খসরু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের ভোটের নির্বাচিত সংসদ ও নির্বাচন। এই কাজটাতে বিএনপি বিশ্বাস করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এস এম ফজলুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে ওঠে পড়ে লাগে। তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান বিদেশে অবস্থান করলেও তাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ দেওয়া হয়।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ‘সবক্ষেত্রে বিচারের নামে প্রহসন চলছে।’
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান হচ্ছেন বাংলাদেশের মানুষের নয়নের মনি। জিয়া পরিবারের সবাইকে সাজা দিয়ে নেতাকর্মীদের হামলা মামলা দিয়ে এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। বাংলাদেশের মানুষ প্রস্তুত হয়েছে। রাজপথে আছি, আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাবো।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘সরকার তারেক রহমানকে আগামী দিনের প্রধান প্রতিপক্ষ ভেবে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছে।’
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘তারেক রহমান সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের শিকার। ’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, জসীম উদ্দীন সিকদার, কর্নেল আজিমুল্লাহ বাহার, অধ্যাপক কুতুবউদ্দিন বাহার, অধ্যাপক জসীমউদ্দীন চৌধুরী, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, মোশারফ হোসেন, এম মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মজিবুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, মোস্তাফিজুর রহমান, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, জামাল হোসেন, হুমায়ন কবির আনসার, আমিনুর রহমান চৌধুরী, ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান, নুরুল্লাহ বাহার, মোশারফ হোসেন দীপ্তি, মোহাম্মদ শাহেদ, এইচ এম রাশেদ খান, মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, জেলি চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি