শুভ্রজিৎ বড়ুয়া »
নির্ধারিত সময়ের পরে শুরু হলেও দ্রুত সময়ে শেষ করার লক্ষ্যে চলছে কালুরঘাট সেতু সংস্কারকাজ। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ম্যাটারিয়ালস মোবিলাইজেশন ও প্লেট সংস্কার কাজ, যা পুরো কাজের ৫০ শতাংশ। চলতি মাসের মধ্যে পুরো কাজ শেষ না হলেও ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে চান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তবে বৃষ্টির কারণে সংস্কারকাজে গতি কমেছে বলে তারা জানান।
রেলওয়ের তথ্যানুযায়ী জানা যায়, ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে একটি নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চলবে নতুন কোরিয়ান কোচ দিয়ে। চলতি মাসের শেষদিকে ঢাকা-কক্সবাজার রুট উদ্বোধন করার কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তবে এই রেল রুটে কক্সবাজারের কিছু কাজ বাকি থাকলেও রেল লাইনের কাজ চলতি মাসেই শেষ করতে চান সংশ্লিষ্টরা। কক্সবাজার স্টেশনের বেশকিছু কাজ রুটটি চালু হওয়ার পরও চলবে। আনুমানিক ১৫ শতাংশ কাজ রুটটি চালু হওয়ার পর শেষ করা হবে। অন্যদিকে বাকি রয়েছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ। এ সেতুর সংস্কারকাজ চলা অবস্থায় ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে রেলওয়ে ট্রাফিক খুলে দেওয়া কথা থাকলেও তা এখনও সম্ভব হয়নি।
আরও জানা যায়, কক্সবাজার রুটে চলাচলের জন্য আধুনিক উচ্চগতির ১৪৭টি মিটারগেজ কোচ আনা হয় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। এ কোচগুলো বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রায়াল রান করছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় চায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এ রুটে রেল চলাচল উদ্বোধন করতে। ফলে প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের রেলের ভাড়াও নির্ধারণ করেছে। ১৫-১৬টি বগি নিয়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে পাওয়ার কার কোচ, কেবিন, এসি চেয়ার, এসি বার্থ, শোভন চেয়ার, গার্ড র্যাক, ব্যুফে কার সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা বলেন, ‘আমরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। পুরোকাজ সম্ভব না হলেও ট্রেন চলাচল উপযোগী করার চেষ্টা করছি। কারণ কক্সবাজার রুট চালুর আগেই এ কাজটি শেষ করার একটি নিদের্শনা রয়েছে। আপাতত সেতুর উপর যান চলাচল নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নেই। প্রথমে ম্যাটারিয়ালস মোবিলাইজেশন দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। বুয়েটের পরামর্শক দলের পরামর্শ অনুযায়ী ধাপে ধাপে কাজ চলছে।’
কোন কোন ধাপের কাজ শেষ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ম্যাটারিয়ালস মোবিলাইজেশন ও প্লেট সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। এখন পিলারগুলোর সংস্কার কাজ চলছে। সংস্কার কাজের ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলা যায়। তবে এতটুকুতে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হয়নি। পিলারের কাজেও বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। আমরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করলেও হঠাৎ বৃষ্টি বা আবহাওয়ার কারণে কাজ গতি হারাচ্ছে। আর কাজগুলো একদম খালি জায়গায় করতে হওয়ার কারণে শ্রমিকরা ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। এরপরও আমরা চলতি মাসেই ট্রেন চলাচলের উপযোগী করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’