সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »
বিখ্যাত বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য এবারই প্রথম একসঙ্গে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের তিনটি ছবি।
প্রতি বছরের মতো এবারও উৎসবটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে। মহামারির কারণে গত বছর উৎসবটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হলেও এবার সিনেমা হলেই উৎসবটি চলবে অক্টোবরের ৬ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত। ২৬ তম আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবার।
বুসান ইতিহাসে এবারই প্রথম তিনটি বাংলাদেশী ছবি স্থান করে নিয়েছে। উৎসবের ওয়েবসাইটে এ বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব আরোপ করে প্রশংসা করা হয়েছে। ছবি তিনটি হলো কান উৎসবে স্থান পাওয়া আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ এবং মোহাম্মদ রাব্বি মৃধার ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’।
সিঙ্গাপুর-কাতার-বাংলাদেশ প্রযোজিত আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এবং যুক্তরাষ্ট্র-ভারত-অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ প্রযোজিত মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ প্রসঙ্গে কম-বেশি সবারই জানা। এরমধ্যে ফারুকীর ছবিটি এই উৎসবের ‘কিম জি সুক অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য মনোনীত হয়েছে। অন্যদিকে সাদের ছবিটি তো ঘুরে এলো সর্বশেষ কান উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশন থেকে।
তবে তরুণ নির্মাতা মোহাম্মদ রাব্বি মৃধার ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’-এর গল্প অনেকেরই অজানা। এটি নির্মাতার প্রথম চলচ্চিত্র এবং শুধুমাত্র বাংলাদেশ প্রযোজিত উৎসবে স্থান পাওয়া একমাত্র ছবি।
ছবিটি প্রযোজনা করেছেন ‘জালালের গল্প’-খ্যাত নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন। নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন মীর মোকাররম হোসেন এবং সহ-প্রযোজক হিসেবে আছেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর ও বাতায়ন প্রডাকশনস-এর তাহরিমা খান।
চলচ্চিত্রটিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনওয়ার, প্রিয়াম অর্চি, দীপান্বিতা মার্টিনসহ অনেকেই।
নো ল্যান্ডস ম্যান, রেহানা মরিয়ম নূর ও পায়ের তলায় মাটি নাই
নির্মাতা জানান, এই গল্পের মূল নায়ক ‘সাইফুল’ নামের একজন সাধারণ মানুষ। যাকে তার দুই স্ত্রী, পরিবার, কাজ, নৈতিকতা ও সামাজিকতার নানা দ্বন্দ্বের ভেতর দিয়ে যেতে হয়।
২৬ তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের A Window on Asian Cinema বিভাগে ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’ দেখানো হবে ৭, ৮ ও ১৩ অক্টোবর।
বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব প্রতি বছর এশিয়ার নতুন চলচ্চিত্রকারদের চলচ্চিত্র নিয়ে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্র উৎসবের নামি সব চলচ্চিত্র নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ২৬ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই চলচ্চিত্র উৎসবটিকে এশিয়ার সবচাইতে বড় চলচ্চিত্র উৎসব বলে বিবেচনা করা হয়।